Bengali New Year : হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালির আবেগ বাংলা ক্যালেন্ডার, বিক্রি কমতেই চিন্তায় ব্যবসায়ীরা – bengali calenders selling is increasing


Malda News : একটা সময় ছিল যখন সব বাড়ির দেওয়ালে বাংলা ক্যালেন্ডার ঝোলানো থাকত। এখনও বাড়ির দেওয়ালে ক্যালেন্ডার দেখা যায়। কিন্তু এখনকার ক্যালেন্ডার ইংরেজি বর্ষের। বাংলা বর্ষের ক্যালেন্ডার আর বাড়ির দেওয়ালে দেখা যায় না বললেই চলে। দেব দেবী থেকে বিভিন্ন ছবির নিচে ঝুলতে দেখা যেত বাংলা ক্যালেন্ডার। সেখানে বৈশাখ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত আলাদা আলাদা পাতা থাকত।

Bengali New Year: বাংলা নববর্ষে মোট ৬টি গ্রহণ, কোন গ্রহণের প্রভাব থাকবে কতটা?
প্রতিটি মাসে পঞ্জিকা মতে তিথি, পাঁজি থেকে পুজো পার্বণ, গ্রহন সমস্ত কিছু বিশদে লেখা থাকত। বাংলা ক্যালেন্ডার ঘরে থাকলে অনেক সমস্যার সমাধানও হয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে বদলেছে সমাজ। বাংলা ১৪৩০ সাল আসার প্রাক মুহূর্তে বাঙালি প্রায় ভুলতে বসেছে বাংলা ক্যালেন্ডার।

Vaishakh Month 2023: কবে থেকে শুরু বৈশাখ? নারায়ণের প্রিয় এই মাসে কোন কাজে ভাগ্য খুলবে জেনে নিন
এখন আর আগের মতো কদর নেই। ব্যবসায়ীদের মতে, বিগত কয়েক বছর ধরে প্রায় ৫০ শতাংশ বাংলা ক্যালেন্ডারের বিক্রি কমেছে। কিছু ব্যবসায়ী নববর্ষ উপলক্ষ্যে হালখাতা করার জন্য বাংলা ক্যালেন্ডার কিনছেন। তাছাড়া সাধারণ মানুষ নিজে থেকে বাংলা ক্যালেন্ডার একেবারেই কিনছেন না।

সেই তুলনায় ইংরেজি সালের ক্যালেন্ডার বিক্রি ভালো হচ্ছে। এই বিষয়ে মালদার ক্যালেন্ডার ব্যবসায়ী পলাশ আহমেদ বলেন, “আগের তুলনায় একটু বিক্রি কমেছে। তবে বাংলা ক্যালেন্ডারের এখনও কদর রয়েছে। বিয়ের দিনক্ষণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন তিথি ভালোভাবে দেখার জন্য বাংলা ক্যালেন্ডার অবশ্যই প্রয়োজন।

বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেই এবার আধার পরিষেবা, বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের
তবে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে বিক্রি কমেছে এটা সত্যি। পাশাপাশি জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও বাজারে ইংরেজি নববর্ষের সময় ইংরেজি সালের ক্যালেন্ডার ব্যাপক বিক্রি হয়”। আধুনিক প্রযুক্তি একদিকে বাংলা ক্যালেন্ডারের ব্যবহার যেমন কমিয়ে আনছে, অপরদিকে দ্রব্য মূল্য।

Kolkata Municipality : বাংলাকে ভালোবাসুন বাংলাতেই, কিছু ওয়ার্ডে বার্তা কাউন্সিলরদের
কাগজ কালির দাম কয়েক বছরে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ক্যালেন্ডারের। চড়া দামে সাধারণ মানুষ ক্যালেন্ডার কিনছেন না। অপরদিকে ক্যালেন্ডার না কিনেও মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষ ক্যালেন্ডার দেখতে পেয়ে যাচ্ছে।

মোবাইল বা ডিজিটাল ঘড়িতে প্রতিদিনের আপডেট নিয়মিত মিলছে। এতে নতুন করে ক্যালেন্ডার দেখার প্রয়োজন পড়ছে না। এছাড়াও মানুষের এখন সময় কম। তাই অল্প সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রয়োজন মিটিয়ে নিচ্ছেন। তবে বাংলা ক্যালেন্ডারের এমন হাল হতে থাকলে আগামি কয়েক বছরের পরে হয়তো একেবারেই বিক্রি হবে না, বিলুপ্তও হতে পারে বাংলা ক্যালেন্ডারের সংস্কৃতি, এমনই আশঙ্কা করছেন ক্যালেন্ডার ব্যবসায়ীরা। শুধু মাত্র ডিজিটাল মাধ্যমেই হয়ত সীমাবদ্ধ থাকবে বাংলা সালের দিনপঞ্জি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *