জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর নাগাদ এলাকার এক যুবতী রুপশ্রীর ফর্ম জমা করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে যেতেই পাশের এলাকার এক যুবক ওই যুবতীর হাত ধরে টানাটানি করে বলে অভিযোগ। প্রকাশ্য দিবালোকে এরকম ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় ওই যুবতীও।
তবে রাস্তার উপরেই চিৎকার-চেঁচামিচি শুরু করে দেয় ওই যুবতী। তবে গোটা ঘটনাটি নজর এড়ায়নি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনাটি এলাকাবাসীরা দেখে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবককে আটক করে নেয় গ্রামবাসীরা।
ওই অভিযুক্ত যুবককে আটক করে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। পুরো ঘটনার খবর যায় মাথাভাঙা থানায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। পুলিশ এসে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা পুলিশের গাড়িকে আটকে রেখে দেয়। পরবর্তীকালে পুলিশের গাড়ি সেখান থেকে কোনওরকম বেরিয়ে আসে। তবে ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় মহিলা ও পুরুষকে আটক করা হয় পুলিশের গাড়ি আটকানোর ঘটনার জন্য।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আচমকাই বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় প্রবেশ করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশির নাম তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা মানিক বর্মন নামে এক যুবক বলেন, “আমি কাজ থেকে বাড়ি ফিরে এসে দেখি শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে আটক করে রেখেছে এলাকাবাসীরা। পুলিশ এসে ওই অভিযুক্ত যুবককে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আচমকাই বিশাল পুলিশ এসে এলাকায় তাণ্ডব চালায়।”
রকম ঘটনা ঘটায় এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত আছেন বলেও জানায় সে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে মাথাভাঙা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা বলেন, “সামান্য কিছু ঝামেলা হয়েছিল একটি যুবককে নিয়ে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।”