সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ এদিন বলেন, “বিজেপির কারও সঙ্গে জোট করার দরকার নেই। আমার মানুষের সঙ্গে জোট করেছি। সেই কারণে বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দল হিসেবে মানুষ আমাদের পরিচিতি দিয়েছে। লোকসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরীক্ষা হয়েই গিয়েছে। যাঁদের পায়ের জোর নেই, তাঁরা জোট করছে। কেউ যদি আমাদের সঙ্গে আসে তাঁকে স্বাগত জানাব।”
রাজ্য সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বীরভূমে জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। অমিতের সফর নিয়ে দিলীপ বলেন, “প্রত্যেক মাসেই উনি আসছেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে তিনি আসছে। আগামী দিনেও তিনি আসবেন।”
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও এদিন মুখ খোলেন দিলীপ। মঙ্গলবার অয়ন শীলের স্ত্রী-পুত্রকে ইডির তলব প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “যাঁরা দুর্নীতি করেছে তাঁদের আত্মীয়স্বজন, পরিবারের লোক এমনকী পোষা কুকুর-বিড়ালও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দুর্নীতির টাকায় তাঁরা সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। সবাইকে ডেকে জেরা করা উচিত এবং জেলে ঢোকানো উচিত।”
বিডিও-র চেয়ারে বসে দলীয় বৈঠক করে বিতর্ক জড়িয়েছেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। রাজ্যজুড়ে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “দল আর সরকারের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। বিডিও ভাগিয়ে তাঁর চেয়ারে বসে আছ। বিডিও-র ল্যাপটপ ব্যবহার করে দলের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বিধায়ক।”
বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সোনামুখী থানার আইসিকে হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। এদিন কার্যত তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন দিলীপ। তিনি বলেন, “এর মধ্যে কোনও ভুল নেই, ঠিকই আছে। যে পুলিশ অফিসাররা তৃণমূলের চামচাগিরি করছে, আমাদের ভয় দেখাচ্ছে, মিথ্যে মামলা দিচ্ছে, সেই কারণেই বলা হয়েছে।”