সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয় সম্পর্কে কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন, ”বিজেপি এতদিন যেভাবে হেরে এসেছে ঠিক তেমনি ভাবেই হারবে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও। উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যখন নিজের আসন ছেড়েছিলেন তখন সেই আসন হেরে গিয়েছিল। দীপা দাশমুন্সিও যখন তাঁর আসন ছেড়েছিল সেটাও হেরে গিয়েছিল কংগ্রেস। উপনির্বাচনে যে কেন্দ্র বা রাজ্যে আছে তারাই যে জিতবে এমন কোন কথা নয় এটা একটা প্যাটার্ন নয়।” মন্তব্য মহুয়া মৈত্রর। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের কোনও প্রভাব পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে না বলেই জানান কৃষ্ণনগরের সাংসদ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কালীগঞ্জের মোলান্দি গ্রামে বেশ কয়েকবার বোমা উদ্ধার হয়েছে। সেই সম্পর্কেও কড়া প্রশাসন। মহুয়া বলেন, ”পঞ্চায়েতে অশান্তি রুখতে সতর্ক থাকতে প্রশাসন বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। সেখানেও পুলিশকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকায় বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে বোমা উদ্ধার করতে হবে। এ নিয়ে কোনও ষড়যন্ত্র করা চলবে না।” এই বলেও হুঁশিয়ারি দেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।
উল্লেখ্য, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচনই লক্ষ্য জোড়াফুল শিবির। জেলার সমস্ত নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি কোনওভাবে যেন ২০১৮-এর প্রভাব ২০২৩-এ না পড়ে। ২০১৮-এ যেভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল তাঁর পুনরাবৃত্তি যেন না হয় বলে সতর্ক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।