শুধু শাড়ি সচেতনতা নয়, একই সঙ্গে সচেতনতাতেও শাড়ি। এমন অভিনব উদ্যোগের জন্য কলকাতার বাজারকেই বেছে নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের হস্তশিল্প ও কারুশিল্প বিভাগ। বাংলা নববর্ষে বঙ্গনারীরা যাতে নিজেদের সংগ্রহ আরও বেশি করে সমৃদ্ধ করতে চান, তার জন্যই বিশেষ অর্ডারে তৈরি হয়েছে ‘সচেতনতা শাড়ি’। পরিবেশরক্ষা থেকে শুরু করে পোষ্য-প্রেম, শান্তির বার্তা থেকে শুরু করে সততা – সব রকম প্রচারই করা হয়েছে এই ধরনের শাড়িতে।
সোমবার দক্ষিণাপণে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের হস্ত ও কারুশিল্প বিক্রয়কেন্দ্র মৃগনয়নীতে প্রথমবারের জন্য এই শাড়ি আনা হয় আগ্রহীদের সামনে। বিক্রয়কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কে কে চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গোটা দেশে শাড়ির প্রচলন ক্রমশ কমছে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা অনুযায়ী দক্ষিণ ভারতের চার-পাঁচটি রাজ্যে দেশের মোট শাড়ি ব্যবসার ৫০ শতাংশ হয়। বাংলা, ওডিশা ও বিহারে হয় ২৫ শতাংশ। বাকিটা গোটা দেশে।’ এমন পরিস্থিতিতে নতুন প্রজন্মকে শাড়িতে আগ্রহী করতে নতুন কিছু করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই সচেতনতা-শাড়ির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সোমবার যে শাড়ির উদ্বোধন করা হলো, তার মধ্যে একটির পাড়ে লেখা রয়েছে ‘শুভনন্দন’। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও পরিবেশরক্ষার শাড়িতে রয়েছে ‘পৌষে শীত কই?’ বা ‘হেমন্ত আর আছে কি?’ স্লোগান। এপ্রিল থেকেই গরমের প্রাবল্য বৃদ্ধির উল্লেখ করতেও ভোলেননি শিল্পী। শাড়িতে রয়েছে ‘বসন্তে তাপপ্রবাহ’ বার্তাও। যাঁরা পশুপাখি ভালোবাসেন তাঁদের জন্য স্লোগান – ‘যারা থাকে বাড়িতে, তারা থাকুক শাড়িতে।’ কালো টাকা রাখার সতর্কতাও পাওয়া যাবে শাড়িতে। আগ্রহীদের জন্য এমন শাড়িতে লেখা ‘অর্থ অনর্থের মূল, নববর্ষে নয় ভুল।’
নববর্ষের মতো সর্বজনীন অনুষ্ঠানে এমন শাড়ি কি আদৌ পছন্দ করবেন মহিলারা? মৃগনয়নীয় ম্যানেজার বলছেন, ‘বাংলার, বিশেষ করে কলকাতার মহিলারা অত্যন্ত আধুনিকমনস্ক। আমরা মনে করি ব্যতিক্রমী এই শাড়িগুলো কলকাতার মতো জায়গায় খুবই জনপ্রিয় হবে।’
