Primary Recruitment Scam : সব জানতেন মানিক! ED-কে ‘রহস্যজনক ডিল’-র কথা জানালেন রত্না – ed officers interrogate ex primary education board secretary ratna bagchi chakraborty


নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ক্রমশ গতি বাড়াচ্ছে ইডি। মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচী চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠানো হয়। সিজিও কম্পলেক্সে রত্নাকে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, রত্নাকে জেরা করে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল নাইসা নামের একটি সংস্থা। তাঁর কর্ণধার নীলাদ্রি দাসকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এসএসসির মতো প্রাইমারি টেটের ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার প্রাক্তন সচিবকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।

Recruitment Scam : মানিকের দুর্নীতির খোঁজে রত্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডি-র
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে এই সংস্থার নাম শোনা গিয়েছিল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রত্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তিনি এই সংস্থার নাম শুনেছেন কি না? জবাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব জানিয়েছেন, তিনি এই সংস্থার নাম শুনেছেন। তবে সবটাই জানতেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এমনকী সংস্থার সঙ্গে মানিক বৈঠক করতেন বলে ইডিকে জানিয়েছেন রত্না।

Recruitment Scam : পুরসভার নিয়োগেও কোটি কোটির লেনদেন! ED-কে টাকার অঙ্ক জানালেন অয়ন
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রত্না এদিন একটি ইমেল আইডির কথাও তদন্তকারীদের জানিয়েছে। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির তরফে ওই ইমেল আইডি থেকে মেল করা হত। সংস্থার কর্ণধার কে অথবা সংস্থার সঙ্গে কারা যুক্ত, গোটা বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল বলে ইডিকে জানিয়েছেন রত্না। ইডি সূত্রে খবর, পর্ষদের প্রাক্তন সচিব এদিন জানিয়েছেন, এই সংস্থা সম্পর্কে সব তথ্যই মানিক ভট্টাচার্য দিতে পারবেন। ইডিকে তিনি জানিয়েছেন, সংস্থার সঙ্গে মানিকের গোটা ডিলটাই ছিল ‘রহস্যজনক’।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ২০১৪ সালের টেট নয়, ২০১২ সালের টেটের ওএমআরও এই সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন করানো হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Recruitment Scam : উড়ান সংস্থা থেকে দুর্নীতির উড়ানে কুন্তল
অন্যদিনে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ধৃত হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করে ইডি। তাঁকে ২৫ এপ্রিল অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর পাশাপাশি জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করার জন্য ইডিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ইডির আইনজীবী। আদালতে ইডির দাবি, মানিকের ছেলে অভিষেক শীলের সঙ্গে নগরোন্নয়ন দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিকের মেয়ের যৌথ ব্যবসা রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *