সোনার পাথরবাটি হবে। তৃণমূল কখনই জাতীয় দল ছিল না, জাতীয় দল সেজে ছিল”। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে দলের প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে একই সঙ্গে বালুরঘাট দণ্ডি কাণ্ডে সমর্থন করায় তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, “অপরূপা পোদ্দারের বাড়ি ঘেরাও করুন আদিবাসীরা”।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক বছর হতে চলল, দুর্গাপুর পুরসভার নির্বাচন থমকে। নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছে BJP। মঙ্গলবার নির্বাচনের দাবিতে দুর্গাপুরে প্রতিবাদ সভা করে BJP। তাতে যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
বলেন, “গোয়ায় সরকার গড়তে তৃণমূল কংগ্রেস ভরসা রেখেছিল লুইজিনহো ফেলেইরোর ওপর। তাঁকে ক্ষমতা দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। প্রণব বাবুর পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে রাজ্যসভার সাংসদ না করে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে সেই পদ দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যখন তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সর্বভারতীয়’ তকমা নির্বাচন কমিশন কেড়ে নিল, ঠিক তার পরেরদিনই মঙ্গলবার রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লুইজিনহো ফেলেইরো”।
এদিন তিনি তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কাক পেখম লাগালেই ময়ূর হয় না। কাঁঠালের আমসত্ত্ব হবে না। সোনার পাথর বাটি সম্ভব নয়। তৃণমূলও জাতীয় দল হবে না”। তিনি আরও বলেন, “ভোটে সময় বাংলার মেয়ে বলে ভোট নিয়েছিলেন। ভোটের পর রাজ্যসভায় বাংলার আসন কেড়ে, বাঙালিদের বঞ্চনা করে অসমের একজন আর গোয়ার একজনকে মাথার ওপর বসিয়েছিলেন।
এখন সেই নেতারা লাথি মেরে চলে যাচ্ছে। কারন তারা বুঝে গিয়েছে, জাতীয় স্তরে তৃণমূল কিছু করতে পারবে না। তাই ফেলেইরো মমতাকে ফেলে দিয়ে চলে গেলেন। আর অভিষেক আগে বুঝতে পেরেই রাজ্যে চলে এসেছিলেন। তিনি এখন সর্বভারতীয় নয়, শুধু বাংলার ভাইপো”।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষের সুরে সুকান্ত বলেন, “খোকন খোকন বলে ডাক পাড়ি, খোকন গিয়েছে কার বাড়ি। আয়রে খোকন ঘরে আয়। ডাকছে তোকে CBI”। কয়েকদিন আগে বালুরঘাটে আদিবাসী পরিবারকে প্রকাশ্যে দণ্ডি কাটার সাজা দেওয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে।
সেই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের কথা প্রসঙ্গে পালটা প্রতিক্রিয়ায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অপরাধমুলক কথাবার্তা। তীব্র বিরোধিতা করছি। এদের সঠিক সময় সঠিক শিক্ষা দেবেন আদিবাসীরা”। মঙ্গলবার সোনামুখি থানার IC-কে ‘তুই তোকারি’ দিয়ে তির্যক কথা বলায় সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়।
যদিও সৌমিত্রর বক্তব্যকে কার্যত সমর্থন করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “IC-দের আবার মানসম্মান! রাজ্যের IC-রা তৃণমূলের দলদাস। মমতা ব্যানার্জীর আমলে IC-দের কোনও মানসম্মান নেই। তাদেরকে কিছু কাজ করাতে বাধ্য করে তৃণমূল। অনেক IC ওই কাজ মন থেকে করতে চান না, তাদের সম্মান করি”।
রাজু ঝা খুনে এখনও অধরা আততায়ীরা। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বড় মাথার হাত আছে। রাজু ঝা’র হাতে থাকা তথ্য CBI-র কাছে গেলে অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়ত। আন্দাজ করছি, ঘটনায় বড়সড় চক্রান্ত আছে”।