উল্লেখ্য, সাগরদিঘির ফলাফল প্রকাশের পর দল নেত্রীর রোষের মুখে পড়েছিলেন মুর্শিদাবাদ লোকসভার সাংসদ আবু তাহের খান এবং জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ খলিলুর রহমান। দলনেত্রীর কাছ থেকে তীব্র ভর্ৎসনাও শুনতে হয় বলেও খবর। এরপর মুর্শিদাবাদ নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের ব্যাপারে উদ্যোগী হন দলের সর্ব ভারতী সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরে সাংবাদিকদের সামনে আবু তাহের খান বলেন,”আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। চেয়ারম্যান হিসাবে আগে তালিকা দেখার অধিকার আমার আছে। আমার সঙ্গে ন্যূনতম আলোচনাও করা হয়নি। কেন দেখানো হল না জানি না। আমি বিষয়টি রাজ্য কমিটিতে জানাব।”
বহরমপুর ইউনিটের সাংগঠনিক সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায় অবশ্য বলেন, ”কেন উনি সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে উঠে গেলেন, উনিই বলতে পারবেন। তবে নতুন কমিটিতে চেয়ারম্যানের দেওয়া নাম রয়েছে। রাজ্য থেকে তালিকা পাঠিয়ে আমাকে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।” পঞ্চায়েত ভোটের আগে রদবদল করা হচ্ছে জেলা কমিটিগুলি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দলের মধ্যে সমন্বয় রেখে, পুরাতনদের যোগ্য মর্যাদা দিয়েই নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হোক।
বুধবার মুর্শিদাবাদ বহরমপুর ইউনিটের জেলা কমিটি ১৩ টি বিধানসভাকে নিয়ে ২১১ জনের জেলা কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা সময়ের বেশ কয়েকজন। যারা এতদিন দলে ব্রাত্য হয়ে ছিলেন। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ছন্দপতন তৃণমূলের অন্দরে। দলীয় ক্ষোভের বহিপ্রকাশ হতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। চেয়ারম্যান ও সভানেত্রীর মধ্যে অনোক্য পঞ্চায়েত ভোটে কুপ্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে অধীর গড়ে তৃণমূলের এই গোষ্ঠী বিবাদ যে আগামী দিনে জেলের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।