জানা গিয়েছে, বুধবার একাধিক দাবিতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় অভিযান কর্মসূচি নেয় ABVP নেতৃত্ব। ABVP-র বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় অভিযানকে কেন্দ্র করেই চূড়ান্ত অশান্তি সৃষ্টি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবিভিপি কর্মীরা।
সংঘর্ষে ১০ জন ABVP কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ, জাতীয় শিক্ষানীতি চালু সহ একগুচ্ছ দাবিকে সামনে রেখে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও অভিযানে ডাক দিয়েছিল ABVP কর্মীরা।
অভিযানের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছিল উত্তেজনা। অভিযোগ, প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যরা। সেই সময় ABVP কর্মীদের বাধা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা। ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ।
এরপর ক্রমেই বাড়তে থাকি উত্তেজনা। এক সময় ধাক্কা দিয়ে ABVP কর্মীদের বের করে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে। লাঠি-সোটা নিয়েও ABVP কর্মীদের তাড়া করা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, বাইরে থেকে লোক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকানো হচ্ছিল বলে ABVP-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
এবিভিপি কর্মীদের দাবি, তাঁদেরকে ব্যাপক হারে মারধর করেছে TMCP-র কর্মীরা। ঘটনায় জখম হন ১০ জন ABVP কর্মী। এর মধ্যে চারজনকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
এক ABVP কর্মী সংগীত ভট্টাচার্য্য বলেন, “আমাদের একাধিক কার্যকর্তার উপর আক্রমণ করেছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানাব।” অন্যদিকে, TMCP-র পক্ষ থেকে সুরজিৎ দাস বলেন, “ভাড়া করে বাইরে থেকে ছেলে এনে জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা হয়েছিল। সিকিউরিটি সেটা আটকে দিয়েছে। আমরা কোনও ঝামেলার মধ্যে নেই।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আটক করা হয় দুপক্ষের ৬ জনকে। যদিও হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন। বুধবার বেলায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। যদি এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।