গ্রামের একমাত্র পানীয় জলের উৎস সাবমারসিবলটি দীর্ঘদিন অচল। এমনকি গ্রামে থাকা একটি নলকূপ দীর্ঘদিন ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। এমন অবস্থায় শুধুমাত্র পানীয় জলের জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে গ্রামের মানুষদের। অন্য একটি গ্রামের জনৈক ব্যক্তির বাড়ি থেকে আপাতত পানীয় জল সংগ্রহ করছেন তারা।
জল সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। গ্রামে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবিতে বুধবার গ্রামে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলা বাহিনী। দ্রুততার সঙ্গে সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হলে আগামী পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গ্রামের এক গৃহবধূ রিতা লোহার বলেন, “প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে একটু দেখে যান এক বালতি জলের জন্য আমাদের কিভাবে কষ্ট করতে হচ্ছে। অনেকটা পথ হেঁটে গিয়ে আমাদের অন্য গ্রাম থেকে জল নিয়ে আস্তে হচ্ছে, তবেই জল খেতে পাচ্ছি, রান্না হচ্ছে বাড়িতে”।
আরেক মহিলা ছবি লোহার বলেন, “পঞ্চায়েত, প্রশাসনিক অফিস সব জায়গায় এই জলকষ্টের কথা জানানো হয়েছে। কারোর দিক থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। নেতাদেরও দেখা মেলে শুধুই ভোটের সময়। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আসছে। এবার কেউ আসুক ভোট চাইতে। জল না পেলে আমরা এবার ভোট বয়কট করব”।
অশোকা লোহার নামে গ্রামের আরেক বাসিন্দা বলেন, “যে সকল পানীয় জলের উৎসগুলি রয়েছে সে সকল পানীয় জলের উৎস কোনোটা বিকাল হয়ে গিয়েছে বা কোনোটা থেকে জল উঠছে না। গ্রীষ্মকালে পানীয় জলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে”।
চৈত্র মাস প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। সেই সময় পানীয় জলের সংকট আরও তীব্রতর হচ্ছে। পানীয় জলের হাহাকার এতটাই হচ্ছে যে শুধু এই গ্রাম নয়, সংকটের জেরে ক্ষুব্ধ বিভিন্ন এলাকার মহিলারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, নাহলে পথ অবরোধ করছেন।