সদ্য যোগদানকারীদের হাতের দলীয় পতাকা তুলে দেন আদিবাসী তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু, জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বরা৷ যোগদানকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। যদিও BJP-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কৃষ্ণ কুজুরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই BJP-র কোনও যোগাযোগ নেই।
“BJP-র একাধিক কর্মসূচি হলেও তাকে কেউ দেখতে পান না। অথচ একবছরের অনেক আগে থেকেই কৃষ্ণ কুজুরকে জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেখা গেছে। সেই তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে”, একথা বলেছেন BJP-র জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের বাদ সনকইর এলাকায় প্রায় ২০০ জন মহিলা তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগদান করেন।
এই যোগদানের পরই দণ্ডিকাণ্ড ঘটে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যায়। এই ঘটনায় তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই এদিন দাড়ালহাটে পালটা যোগদান শিবির করে। মূলত সেখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের BJP ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়।
যদিও সদ্য তৃণমূলের যোগদানকারী কৃষ্ণ কুজুর দাবি করে বলেছেন, “আমি বর্তমানে আদিবাসী সেলের চারটি জেলার বিভাগ ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলাম। BJP বর্তমানে মানুষের ধর্ম নিয়ে বিভেদ ও রাজনীতি করছে। সেই জায়গা থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য কাজ করছেন। তাই আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম”।
এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোনও মাস্টার স্ট্রোক নয়। অনেক দিন থেকে কৃষ্ণ কুজুর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই জায়গা থেকে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কৃষ্ণ কুজুরের নেতৃত্বে শতাধিক মানুষ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন”।
অন্যদিকে BJP-র জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণ কুজুর সত্যি BJP-র প্রার্থী ছিলেন। তবে তারপর থেকে BJP-র সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ নেই তার। পাশাপাশি যে চারটি জেলার ইনচার্জের কথা তিনি বলছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই জেলায় তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব নেই। রাজ্য নেতৃত্বকে খুশি করতে এই নাটক করা হয়েছে”।