বিক্রম দাস: ভর সন্ধ্যায় খাস কলকাতাতেই দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। হরিদেবপুরে (Haridevpur) যুবককে এলোপাথাড়ি কোপ মারার হাড়হিম করা ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এমনকী আক্রান্ত যুবকের বাঁচানোর আর্তিতে সাড়া দিলেন না প্রতিবেশীরা। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্ত পলাতক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জখম যুবককে।পুরনো শত্রুতার জেরেই হামলা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের। ভরসন্ধ্যায় হরিদেবপুরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সিসিটিভি ফুটেজে। হরিদেবপুরের বড়বাগান এলাকার বাসিন্দা সঞ্চয়ন বিশ্বাস ছিলেন দুস্কৃতীদের টার্গেট।
আরও পড়ুন, West Bengal Police: ‘পুলিসে স্থায়ী নিয়োগ না হলে সমস্যা মিটবে না’, রাজ্য সরকারকে বার্তা হাইকোর্টের
বাঁচাও বাঁচাও করে প্রাণপণ চিৎকার করে কাতর আর্জি জানালেও কেউ বেরিয়ে এসে সাহায্য করেননি। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানা। অভিযুক্ত সহদেব মন্ডল ও সুমিত মন্ডলকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা গিয়েছে। বুধবার বাত ৯ টা নাগাদ বাড়ির কিছুটা দূরেই জিনিসপত্র কিনতে যান এই ব্যক্তি। তারপরই ওই যুবকে ধাওয়া করে। যদিও দুই অভিযুক্ত সম্পর্কে বাবা ও ছেলে।
তাদের হাতে কাটারি ছিল যা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে। এই দুই সন্দেহ করত সহদেব মন্ডলের স্ত্রী-র সঙ্গে এই ব্যক্তি কোনও সম্পর্ক রয়েছে। সেই রোষেই এদিন ব্যক্তিকে ধাওয়া করে কোপায় তারা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে দোলের সকালে হরিদেবপুরে রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় যুবতীর মৃতদেহ। গলায় ফাঁসের দাগ পাওয়া যায়। পরনে সালওয়ার কামিজ, বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। অজ্ঞাতপরিচয় যুবতীকে রাস্তার ওপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা হকচকিয়ে যান। পরে হরিদেবপুর থানার পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন, DA Movement: নবান্নর হেলদোল নেই, সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য এই পদক্ষপ নিল ডিএ আন্দোলনকারীরা