Jadavpur University : মঞ্চে যৌনদৃশ্যে অভিনয়ের নির্দেশ! অভিযোগ যাদবপুরে – allegations of ragging against senior students raised in jadavpur university


জয় সাহা
ভর্তি প্রেক্ষাগৃহে মঞ্চের উপর তুলে প্রথম বর্ষের নবাগত পড়ুয়াদের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। হস্তক্ষেপ করেছে ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কমিশনের অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে বৈঠকও হয়েছে প্রাথমিক ভাবে।

ঘটনাটি গত বছরের শেষ দিকের। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রেক্ষাগৃহে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফ্রেশার্স ওয়েলকামের আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, সেখানে নবাগত ছাত্রছাত্রীদের মঞ্চে তুলে চূড়ান্ত যৌন উদ্দীপক নানা কাজে বাধ্য করেন সিনিয়র একদল পড়ুয়া। এ ব্যাপারে ইউজিসি-র কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Jadavpur University Fest : দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের হেনস্থা ও মার, কাঠগড়ায় ফেটসু-র ফেস্ট
অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ছাত্রদের নানা যৌন দৃশ্যে অভিনয় করতে বাধ্য করা হয়েছে। সিনিয়র ছাত্রদের সঙ্গে বিয়ের অভিনয়ে বাধ্য করা হয়েছে ছাত্রীদের। বেশ কিছু আপত্তিকর অভিনয়েও কাউকে কাউকে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবিও ইউজিসি-কে কাছে জমা দিয়েছেন অভিযোগকারী। পাশাপাশি জানিয়েছেন, সিনিয়রদের চাপের কারণে অভিযোগ জানাতে ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। তবে তাঁর নাম যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সে জন্য ইউজিসি-র কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Recruitment Scam : শুধু উত্তরপত্রে নয়, দেদার জালিয়াতি হতো প্রশ্নপত্রেও!
র‍্যাগিংয়ের এই অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এ ব্যাপারে দ্রুত খোঁজখবর করে তদন্ত শুরু ও পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা জ়িরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলি। অভিযোগ নিয়ে অ্যান্টি র‍্যাগিং স্কোয়াডের সদস্যরা বৈঠক করেছেন। অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটিও দ্রুত বৈঠকে বসবে।’

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বরে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তারা মূলত ওই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তৃতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের ব্যাচ ওখানে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিল। প্রতি বছরই এমন হয়। এটা নেহাতই মজা। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এমন কিছু করা হয় না।

‘Ammi’ & ‘Abbu’: পাঠ্যবই থেকে শিখে আব্বু-আম্মি ডাক শিশুর! জেলাশাসকের কাছে নালিশ অভিভাবকের
এ বারও এমন কিছু করা হয়নি, যা তাঁদের অস্বস্তির কারণ হয়।’ বিভাগীয় প্রধান অমিত কর্মকারের বক্তব্য, ‘আমাকে কেউ কিছু জানায়নি।’ অথচ ইউজিসি-র কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী, বিভাগীয় প্রধানকেই সবার আগে খবর দিতে হয়। প্রশ্ন উঠেছে, এ ক্ষেত্রে কি তা করা হয়নি? সদুত্তর মেলেনি কর্তৃপক্ষের তরফে।

Recruitment Scam : নজরে সরকারি অফিসাররা, সূত্র ‘মিস্টার সামন্ত’, আধিকারিকদের নাম কেস ডায়েরিতে
বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া বলেন, ‘অনুষ্ঠান চলাকালীনই কেউ কেউ আপত্তি জানিয়েছিল। আমিও আপত্তির কথা বলেছিলাম। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি।’ ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ছাত্র সংসদ ফেটসু-র নেতা গৌরব দাস বলেন, ‘আমরা বিষয়টা শুনেছি। আলোচনা করে মতামত জানাতে পারব।’ সামগ্রিক ভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং-বিরোধী কাজকর্ম করেন কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। এই অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করা উচিত ছিল। স্কোয়াড নয়, অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির বৈঠক হওয়া দরকার ছিল।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *