নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এরপর বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে দলের প্রশংসাই শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠে। যদিও গ্রেফতারির পর তাঁকে মহাসচিব পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। সরানো হয় মন্ত্রিসভা থেকেও।
এরপরে দলের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য তাঁর মুখ থেকে শোনা যায়নি। বৃহস্পতিবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের মর্যাদা চলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। এই প্রশ্নের জবাবে মৌনই ছিলেন পার্থ।
উল্লেখ্য, গত বছর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে মডেল তথা অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করে ED। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কার? তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ওই টাকার সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও যোগাযোগ নেই। অর্পিতাও দাবি করেন, ওই টাকা তাঁর নয়। বিপুল এই অর্থ নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা বলে কুণাল ঘোষ বলেন, “খুবই ভালো বিষয়। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বক্তব্য নেই। কারণ তা সম্পূর্ণ আইনি বিষয়। যাঁর ফ্ল্যাট, যাঁর বন্ধুর ফ্ল্যাট তাঁরাই বলতে পারবেন। তদন্তকারী এজেন্সি-কোর্ট বিষয়টি ভালো বুঝবেন।”
উল্লেখ্য, এদিন আদালতে ওঠার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় তকমা হারানো প্রসঙ্গে। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দল আবার জাতীয় দলের তকমা ফিরে পাবে।” এই বিষয়ে কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পালটা কোনও জবাব দেব না।”
অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এর আগেও দাবি করেছেন, এই মামলার সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই সম্পর্কযুক্ত নন।
এখানেই শেষ নয়, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নববর্ষের জন্য বেহালার বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানান। শুধু বেহালার বাসিন্দাদের নয়, রাজ্যবাসীকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। তবে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মৌনই থেকেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।