Mamata Banerjee : ‘শাড়ির আঁচল পেতে ভিক্ষা চাইব কিন্তু…’, মাথা নত না করার বার্তা মমতার – mamata banerjee inaugurated dhana dhanya stadium in kolkata alipore area


বৃহস্পতিবার আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ৪৪০ কোটি টাকা খরচ করে এই থ্রি টায়ার ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। শঙ্খ বা শাঁখের আদলে এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে।

পূর্ত দফতর ও হিডকোকে এই স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ধন্যবাদ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গ্রামের গরিব মজুররা এই কাজ করে। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে গেলে তাঁদের আর এখানে ঢুকতে দেওয়া হয় না। নো এন্ট্রি বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। আমি মুখ্যসচিবকে বলব, ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে যে সব মজুর ও শ্রমিক এই স্টেডিয়াম নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের একদিন এখানে ডেকে এনে সম্বর্ধনা দেওয়াও ব্যবস্থা করতে।”

Mamata Banerjee : ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম অশান্তি ছড়াতে এসেছিল’, রিষড়া নিয়ে বিস্ফোরক মমতা
এদিন স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফের একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যে সব করার চেষ্টা করি। আমাদের অনেক টাকা আটকে রাখা হয়েছে। শুনেছি ২০২৪ অবধি টাকা দেবে না। না দিক, ঠিক চালিয়ে নেব। দরকার হলে শাড়ির আঁচল নিয়ে ভিক্ষে চাইব মায়ের কাছে। কিন্তু দিল্লির কাছে ভিক্ষে চাইতে যাব না।”

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডে ধরনা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে যাদবপুর, কলকাতা ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়ার গান যে তাঁর মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে, এদিন সে কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওঁদের গান শুনে আমার খুব ভালো লাগল। আমি সেই কারণে ওঁদের বাংলা ব্যান্ড তৈরি করার কথা বলেছি।”

Mamata Banerjee : ‘আই লাভ কেওড়াতলা সম্পূর্ণ মিথ্যে!’ কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ মমতার
তাঁর সরকার যে সাধারণ মানুষের স্বার্থে সব কাজ করেছে, সেই কথাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাংলায় যা সামাজিক প্রকল্প আছে, সার বিশ্বে কোথাও নেই। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্প রয়েছে। সব ভাবনা চিন্তা আপনাদের জন্য। আমার নিজের বলে কিছু নেই। একটাই জিনিস বলার, মানুষ যেন আমাকে ভুল না বোঝে।”

KMC Parking Fee : মমতার মতেই শিলমোহর! বর্ধিত পার্কিং ফি প্রত্যাহার কলকাতা পুরসভার
কলকাতায় মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের কাজ নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “এই যে মেটো রেলের কাজ হচ্ছে, আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করে দিয়ে এসেছিলাম। তবে এরা কাজ করতে বড্ড বেশি সময় নিচ্ছে কাজ শেষ করতে। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম দিঘা-তমলুক ন’মাসে করে দিয়েছিলাম।” এদিন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিক, বুদ্ধিজীবী ও ক্রীড়াবিদদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *