বিজেপির ‘নো ভোট টু মমতা’ আহ্বানে যদি সিপিএমের কোনও নেতা সাড়া দিয়ে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে সমঝোতা করেন, তবে তখনই কঠোর পদক্ষেপ নেবেন সিপিএম। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে বুধবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তাঁর জবাবি ভাষণে এই রণকৌশলের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে হলে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনেই বামফ্রন্ট ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের জেলা পরিষদের সমস্ত প্রার্থী ঘোষণা করে দেবে। যেখানে বামের সঙ্গে কংগ্রেস, আইএসএফ-সহ অন্য শক্তির সঙ্গে সমঝোতা হবে, সেখানে বামেরা তাঁদের ভাগের আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে ওই দিনেই। বামেদের জোটসঙ্গীরা তাঁদের মতো করে প্রার্থী জানাবে।
সেলিম বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সমস্ত প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে যাবে। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী সমস্ত দল, গোষ্ঠী, ব্যক্তিকে একজোট করা আমাদের লক্ষ্য।’
শুভেন্দু অধিকারী ‘নো ভোট টু মমতা’ স্লোগান দিয়ে বামেদের গেরুয়া শিবিরের দিকে টানার চেষ্টা করছেন। বিজেপি নেতৃত্ব নিচুতলায় সমঝোতার টোপ দিচ্ছে, এই আভাস সিপিএম নেতৃত্বের কাছে এসেছে। এই কারণে সেলিম তাঁর জবাবি ভাষণে বলেছেন, ‘কোনও জায়গায় বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করা হলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
আর যদি নির্দিষ্ট সময়ে ভোট না হয়, তা হলে বামেরা পঞ্চায়েত ভোটের দাবিতে আন্দোলনে নেমে যাবে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যর কথায়, ‘এখন তৃণমূলের দুর্নীতির নিয়ে আন্দোলন চলছে, পঞ্চায়েত ভোটের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে ভোটের দাবিতেও আন্দোলন শুরু হবে।’