বৃহস্পতিবার সকালে দিনহাটা – ২ ব্লকের শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ৩ জন জখম হয়ে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দীপক সরকার নামে এক তৃনমূল কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কোচবিহার শহরে রেফার করা হয়েছে।
মূলত এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিষ্ণু কুমার সরকার ও অঞ্চল সভাপতি দীপক সেনের অনুগামীদের মধ্যে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে জেলার তৃনমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল তৃনমূলের জেলা কমিটি ঘোষণা হয়।
সেখানে শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিষ্ণু কুমার সরকার জায়গা পান। এরপর রাতে তার অনুগামীরা আনন্দ ফুর্তি করেন। এরপর সকালে তৃনমূলের শুকারুরকুঠি অঞ্চল সভাপতি দীপক সেনের অনুগামীরা বিষ্ণু কুমার সরকারের লোকজনদের মারধর করে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপর আহতদের উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জখম তৃনমুল কর্মী দীপক সরকার বলেন, “আমরা বাড়িতে বসেছিলাম। হঠাৎ করে তৃনমূলের অঞ্চল সভাপতি দীপক সেনের লোকজন এসে আমাদের মারধর করে।
আমরা বাধা দিতে যায়, তাতে ওরা আরও রেগে গিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মারে আমাদের ৩ জন কে”। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অঞ্চল সভাপতি দীপক সেন। তার বক্তব্য, “যারা অভিযোগ করছে তারা তৃনমূলের কেউ নয়। এগুলো সব দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে”।
যদিও যে নেতার অনুগামীরা মার খেয়েছে তৃনমুলের সেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিষ্ণু কুমার সরকার এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। এদিকে এই বিষয়টকে রীতিমতো কটাক্ষ করেছে BJP। BJP নেতৃত্বের বক্তব্য, যারা সামান্য জেলা কমিটির তালিকাকেই মানছে না, তাঁরা পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী তালিকাকে কিভাবে মেনে নেবে!