ফেসবুকে ‘শ্যামনগর’ ট্রেন্ডিং। পাশাপাশি ছবি দেখে নেটপাড়ার নাগরকিদের কেউ বলছেন, ‘সুখের রাজা দিল বর’। কারও আবার সহাস্য মন্তব্য ‘শালি মানেই আধি ঘরওয়ালি। বউয়ের সামনেই জামাইবাবু পুরো দখল করে নিলেন।’ কোনও কিছু নিয়ে এত হইচই হলে জানতে চাওয়ার ইচ্ছেটা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। সেই কারণে ‘শ্যামনগর’-এ আসলে কী হয়েছে, জানতে চেয়ে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন অনেকে।
শেষমেশ ‘শ্যামনগর’ রহস্যের যবনিকা পতন। জানা গিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ঘিরে চলছে এই পোস্ট-পালটা পোস্ট। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভাইরাল ভিডিয়ো নেটপাড়ায় তুফান তুলেছে। গ্রুপ হোক বা মেজেঞ্জার শ্যামনগর নিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা।
জানা গিয়েছে, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভাইরাল ভিডিয়ো দেখার জন্য অনেকে গাঁটের কড়ি খরচ করতেও রাজি। মেসেঞ্জার বা লিঙ্ক পোস্ট করে চলছে ভিডিয়ো আদান-প্রদান। কেউ কেউ আবার সরাসরি নিজের ওয়ালে পোস্ট করে ভিডিয়ো চাইছেন। কেউ আবার লিঙ্ক চেয়ে মিম শেয়ার করছেন।
যাঁদের কাছে এই ভিডিয়ো রয়েছে, তাঁরা আবার নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ার বেতাজ বাদশা বলে ভাবতে শুরু করেছে। ট্রেনে, বাসে সর্বত্র এই নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। বাদ নেই পাড়ার রক থেকে শুরু করে চায়ের দোকান। তবে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো এভাবে ছড়িয়ে দেওয়া নীতিগতভাবে কতটা সঠিক সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। অনেককে এই নিয়ে মতামত দিতে ও দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করতেও দেখা গিয়েছে।
সবথেকে বেশি বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার শ্যামনগরের বাসিন্দাদের। তাঁদের মতে এভাবে কোনও কারণ ছাড়া তাঁদের এলাকার নাম বদনাম করার কোনও মানে হয় না। এই প্রসঙ্গে শর্মিষ্ঠা রায় নামে শ্যামনগরের এক বাসিন্দা বলেন, “কারও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা অত্যন্ত অনুচিত। ব্যক্তিগত মুহূর্ত সবারই থাকে, সেই নিয়ে কেউ যদি হাসাহাসি করে তা অত্যন্ত লজ্জার। এর পাশাপাশি অকারণে আমাদের শ্যামনগের নাম বদনাম করা হচ্ছে।”