Alipurduar News : বর্ষা এলেই শুরু হয় নদী ভাঙন, এখন থেকেই আতঙ্কে আলিপুরদুয়ারের গ্রামবাসীরা – villagers agitation for not constructing river dam at alipurduar


West Bengal News : চৈত্রের শেষে ফুটিফাটা চারিদিক। একটু বৃষ্টির আশায় রয়েছে বঙ্গবাসী। তবে বৃষ্টির নাম উঠলেই বুক কেঁপে ওঠে ওঁদের। কারণ, বর্ষা আসলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। বিঘের পর বিঘে জমি চলে যায় জলের তলায়।

অথচ, নদী বাঁধ ভাঙন নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ক্ষোভ আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বর্ষা আসতে ঢের বাকি। তবু যেন রাতে ঘুম নেই দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ির বাসিন্দাদের৷ বর্ষা আসলেই তো শুরু হবে নদীর ভাঙন৷

Dokin 24 Pargana : ফের হোগলা নদী বাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে বাসন্তীর বাসিন্দারা
আলিপুরদুয়ার জেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরেই মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত৷ দুই নম্বর ব্লকের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তঃগত দক্ষিন পানেয়ালগুড়ি গ্রামে ১৫ টি পরিবারের বসবাস৷ মূলত কৃষি ভিত্তিক ও সুপারি বাগান দিয়েই উপার্জন এই গ্রামের বাসিন্দাদের৷

গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে পাহাড়ি নদী কালকূট৷ বর্ষায় ভয়াবহ আকার নেয় এই নদী৷ নদীর ভাঙনে তলিয়ে যায় কৃষি জমি, সুপারি বাগান৷ আর তাতেই ঘুম উড়েছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের৷

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নদীর ভাঙনকে সামনে এনে গ্রামের মানুষ যেমন সরব হয়েছেন৷ তেমনই সরব হয়েছেন বিরোধী দলগুলো৷ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শান্তনু দেবনাথ বলেন, “এটা লজ্জার। জেলা সদর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটা গ্রামের মানুষকে রাত জাগতে হচ্ছে নদীর ভাঙনের জন্য৷”

Jalpaiguri News : দশ বছরেও টনক নড়েনি প্রশাসনের! বেহাল রাস্তার কারণে ভোট বয়কটের ডাক জলপাইগুড়িতে
শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে BJPও৷ স্থানীয় BJP নেতা মিঠুন রায় বলেন, “দেখা যাবে নদীর বাঁধ সরকারি কাগজে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাঁধ হয়নি৷” বাঁধ তৈরির টাকা তছরুপ করে দেওয়া হয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “বর্ষা আসার আগে থেকেই আমাদের মধ্যে চিন্তা শুরু হয়ে যায়। জলের তোড়ে জমি নষ্ট হয়ে যায়। চাষের ক্ষয়ক্ষতি হয়। জমিটুকুই আমাদের রুজিরুটির ভরসা।”

আরেক বাসিন্দার কথায়, “বাঁধ মেরামতি হলে আমাদের অনেকটা উপকার হত। এখনো পর্যন্ত তো কাজের কোনও খবর নেই।” তবে শীঘ্রই কাজ শুরুর ব্যাপারে আশ্বাস স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।

Sand Smuggling : দিনে দুপুরে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য ভরতপুরে, প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, “স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে দিয়ে এই কাজ সম্ভব নয়। সেচ দফতরকে বলা হয়েছে৷ পানেয়ালগুড়ি এলাকায় নদীর বাঁধ করা হবে৷” আশায়, রয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *