ইতিমধ্যে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের পক্ষ থেকে জেলা শাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অন্যান্য আদিবাসী সংগঠনগুলিকেও বনধে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান।
এই বনধ প্রসঙ্গে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের উত্তরবঙ্গ জোনেরসহ সভাপতি বিভূতি টুডু বলেন,“যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনা শুধু তাদের কাজ ছিল না। কিন্তু, আমরা চাইছি মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হোক। ওই কর্মসূচিতে যে সমস্ত তৃণমূলের নেতারা ছিলেন তাঁদের সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। বনধের পরেও যদি কোনও পদক্ষেপ না করা হয় সেক্ষেত্রে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটব।”
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের উত্তরবঙ্গ জোনের সহ সভাপতি মোহন হাঁসদা বলেন, “এই ঘটনায় ওই আদিবাসী মহিলাদের শুধু অপমান হয়নি। গোটা আদিবাসী সমাজের অপমান করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের পাঁচ দফা দাবি রয়েছে। সেই দাবিগুলি সামনে রেখে আমরা বনধ করতে চলেছি।”
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘কর্মনাশা’ বনধের বিরোধিতা করে এসেছে তৃণমূল সরকার। সেক্ষেত্রে এই বনধের প্রেক্ষিতে প্রশাসন কি পদক্ষেপ করে সেই দিকে নজর থাকবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বনধ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে এই বনধ ডাকায় চিন্তায় জেলার মানুষজন।
উল্লেখ্য, দণ্ডিকাণ্ডের পর তৃণমূলের সভানেত্রীপ্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরানো হয় এবং সেই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলার আদিবাসী নেত্রী স্নেহলতা হেমব্রমকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর শুক্রবার বালুরঘাট ব্লকের চকরামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভগবান জাহেরথান ও মাঝিথানে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঙ্গলকামনায় পুজো দেন। এই পুজোর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করলে দক্ষিণ দিনাজপুর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী স্নেহলতা হেমব্রম।
দন্ডিকাণ্ডে রীতিমতো সরগরম হয়েছিলরাজ্য রাজনৈতিক মহল।সুর চড়িয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। রাজ্যের মহিলা সুরক্ষা কমিশনও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।