রাজ্যপালকে বেনজির আক্রমণ ব্রাত্য বসুর
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন, “শ্বেতহস্তির মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীকে না বলে উপাচার্য নিয়োগ করছেন। যেখানে সেখানে চলে যাচ্ছেন, অনুদান দিচ্ছেন।” তাঁর সংযোজন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম নিজে ঠিক করে ফেলছেন। গণমাধ্যমে পর্যন্ত তা জানাচ্ছেন না। এগুলো না করে বরং এতদিন ধরে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল আটকে রয়েছে, সেগুলো সই করুন। রাজ্যের, রাজ্যবাসীর এবং উচ্চশিক্ষার সঙ্গে জড়িতদের আকাঙ্খাকে মর্যাদা দিন। নইলে শিবসেনা যে কথা বলেছিল, ঠিক সেইরকমই শ্বেতহস্তির মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। মত্ত হস্তির মতো সমস্ত বিদ্যালয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এটা আমাদের সমীচীন ঠেকছে না।”
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উদ্দেশে রাজভবনের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে যেকোনও খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যপালের আগাম অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও নির্দেশিকায় প্রত্যেক সপ্তাহের শেষ কাজের দিন ইমেল মারফত রাজভবনকে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন রাজ্য ও শিক্ষা দফতরকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এমনকী চিঠির কোনও আইনি বৈধতা নেই বলেই জানিয়েছেন ব্রাত্য।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এই চিঠির কোনও আইনি বৈধতা নেই। রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত, কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা ছাড়া উচ্চশিক্ষা দফতরও তাঁদের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। মাননীয় রাজ্যপালকে সম্মান রেখে বলব এই চিঠি যেন প্রত্যাহার করা হয়।” ব্রাত্য আরও বলেন, “এই ধরনের ব্যাপারে ও বিশ্ববিদ্যালয় ও তার স্বশাসনের গরিমা ক্ষুণ্ন হয়। রাজভবনের সঙ্গে কোনও দ্বৈরথ আমরা চাই না।” এরপরই তাঁর কটাক্ষ, “গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বা জগদীপ ধনখড়ের মতো রাজ্যপালদের আমরা দেখেছি। তাঁরা পরিষ্কার করে কথে বলতেন। তবে এরকম ভাসা ভাসা কথা বা বিবৃতি দিয়ে কোনও লাভ নেই। যা বলতে চান পরিষ্কার করে বলুন, নইলে কাজের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করুন।