ওই বাড়িতে গিয়ে বাথরুম থেকে একটি চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধার করেন মেরিনার্স এরিনা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। পরে বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে রনজিৎ দাসের বাথরুমে একটি চন্দ্রবোড়া সাপ ঢুকে পড়ে। পরে মেরিনার্স এরিনা ফাউন্ডেশনের সদস্য অভিক হাজরা ও দেবরাজ আড়ু ঘটনাস্থলে পৌঁছে কৃষ্ণেন্দু রাণার সহযোগিতায় সাপটিকে উদ্ধার করেন।
পরে দেবরাজ আড়ু বন দফতরে খবর দিলে বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এই বিষয়ে দেবরাজ আড়ু জানান, “গরম আবহাওয়ার জন্য সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সন্ধ্যার সময় বাড়ির বাইরে বের হলে সকলে যেন টর্চলাইট ব্যবহার করেন। পাশাপাশি বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখার আবেদন জানাচ্ছি”।
তবে কখনই কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন সকলকে। কারণ ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করলে ছোটখাটো পোকামাকড় আসবে না। সেই পোকামাকড় খেতে ব্যাঙ আসবে না এবং ব্যাঙ খেতে সাপও আসবে না।
বাড়ির মালিক রনজিৎ দাস বলেন, “সকালবেলা হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে দেখি সাপটি কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে রয়েছে। তা দেখেই আমার হাড়হিম হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমের দরজা বাইরে থেকে আটকে দিয়ে পাড়ায় খবর দিই। সেখান থেকেই খবর পেয়ে মেরিনার্স এরিনা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা আসেন।
গরম পড়ে গিয়েছে, আর কয়েকমাস পড়ে বর্ষাও পড়বে। খুব সাবধানে থাকতে হবে”। গৃহস্থ বাড়িটি থেকে জানানো হয়, বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপটিকে দেখা মাত্রই আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটাচ্ছিলেন তাঁরা।
এখন তাঁদের বাথরুম থেকে বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপটি উদ্ধার হওয়ার পরে যথেষ্টই স্বস্তি মিলেছে। চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত একটি অন্যতম বিষধর সাপ। এই সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।