অবেশেষে প্রতিবেশী এক মহিলার হাতেনাতে ধরা পড়ল সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর এলাকায়। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবা ও মাকে খুন করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৩ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করা হতো। অভিযোগ প্রতিবেশী এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তাকে যৌন নির্যাতন করত ওই ব্যক্তি। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রদীপ রায়(৫৫)। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানা এলাকায়৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা ও মা দুজনেই কর্মরত৷ তারা কাজে চলে গেলে বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে দুপুরবেলা বাড়িতে ঢুকত অভিযুক্ত প্রৌঢ়৷ একা পেয়ে তার উপর যৌন নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ৷ এদিন অভিযুক্তকে দুপুরবেলা ফাঁকা বাড়িতে ঢুকতে দেখে প্রতিবেশী এক মহিলার সন্দেহ হয়৷ তিনিও পেছন পেছন ধাওয়া করেন৷
তারপর হাতেনাতে ওই বৃদ্ধাকে ধরে ফেলেন৷ চিৎকার চেঁচামিচি করে লোক জড়ো করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ওই নাবালিকার বাবা-মায়ের কাছে। খবর দেওয়া হয় থানাতেও। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে আটকে রাখে স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৪৪৮, ৩৫৪এ, ৩৭৬(৩), ৫১১, ৫০৬, ৫০৯ ও ৮ নম্বর পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷এই বিষয়ে বারুইপুরের SDPO অতীশ বিশ্বাস জানান, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷
গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ওই প্রৌঢ় এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে শুনে হতবাক সকলেই। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন সকলেই। তাঁদের কর্মব্যস্ততার মাঝে বাড়িতে এরকম ঘটনার কথা শুনে হতবাক নাবালিকার বাবা-মাও। এই ঘটনায় নাবালিকার বাবা-মাও অভিযুক্তের কড়া শাস্তির ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন।