কারণ, বাঙালির দিঘা প্রেমের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভয়ানক তাপপ্রবাহ । আগুন ঝরাচ্ছে সূর্য। গত কয়েকদিন ধরে বেলা বাড়তেই বাইরে গরম হলকা। চামড়া পোড়াচ্ছে গরম। চাঁদিফাটা রোদ ও তাপপ্রবাহের কারণে দিঘা থেকে মুখ ফিরিয়েন পর্যটকেরা বলে মনে করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
গত দিন কয়েক ধরে দক্ষিণবঙ্গে যেন তাপপ্রবাহের ভয়াবহ দাপট। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। প্রতিদিন নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙছে পারদ। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির পাশাপাশি তাপপ্রবাহ লু-এর সতর্কতা জারি রয়েছে। শুক্রবার দিঘার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৮ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৯। যদিও এই মুহূর্তে কলকাতা, বর্ধমান, আসানসোল, মালদা, পুরুলিয়ার থেকে কয়েক ডিগ্রি কম দিঘার তাপমাত্রা। তাই শান্তির খোঁজে এই গরমেও সমুদ্র স্নানে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন।
তবে দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষে বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, এই সপ্তাহে দিঘার হোটেল বুকিং সত্যিই অনেক কম। বাকি ছুটির সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে পর্যটকের সংখ্যা কম। গরমের কারণেই এমন ঘটেছে বলে মনে করছেন তিনি।
পর্যটক কম হলেও এই দাবদাহে সমুদ্র সৈকতে ভরদুপুরে মানুষকে বার বার বেরতে বারণ করছে প্রশাসন। দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ এর এক্সিকিউটিভ অফিসার মানস কুমার মণ্ডল জানান, ”প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা বাড়ছে আগত পর্যটক থেকে পর্যটকরা যাতে সুরক্ষিত থাকে তার জন্য মাইক করে সাধারণ মানুষকে জানানোর কথা দিঘার উপকূল এলাকার থানাগুলিকে জানানো হয়েছে। মাইকিং করে দিঘায় আগত পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্কীকরণ করা হয়।”