ভুয়ো কল সেন্টারের অফিসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছে পাঁচ জনকে। উদ্ধার একাধিক কম্পিউটার সহ অত্যাধুনিক মেশিনপত্র। কলকাতার অফিসপাড়ায়, নিউটাউন, রাজারহাটে কল সেন্টার চালানোর নাম প্রতারণার ব্যবসার ঘটনা নতুন নয়। এবার সেই ব্যবসা ছড়িয়েছে জেলাতেও।
ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা চক্রের হদিশ এবার বারুইপুরে৷ অভিযোগ পেয়ে বারুইপুরের ওই অফিসে হানা দেয় পুলিশ। ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃতরা হল আবু বক্কর, শাহরুখ শেখ, মহম্মদ আলম, মহম্মদ সাহিললও শাহনাজ খান৷ এরা সকলেই বারুইপুর থানা এলাকার মল্লিকপুরের বাসিন্দা৷
ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ৯টি অত্যাধুনিক কম্পিউটার ও অন্যান্য ডিজিটাল গেজেটস বাজেয়াপ্ত করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ৷ সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ ধৃত ৫ জনকে আজ বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয় পুলিশের তরফে৷
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ৷ ধৄতদের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷ বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ জানান, একটি পোর্টাল খুলে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার নামে চলছিল এই প্রতারণা চক্র৷ পোর্টালে বেশ কিছু নাম্বার দেওয়া থাকত৷
সেই নাম্বারে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে কেউ ফোন করলেই তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হত বলে অভিযোগ। দিনের পর দিন একাধিক গ্রাহক এভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছে। এরকম অভিযোগ জমা পড়ছিল বারুইপুর পুলিশের কাছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, কী ভাবে পুরো অপারেশন করা হত তা জানতেই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন৷ সে কারণেই তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দুই বছর ধরে চলছিল এই কল সেন্টার৷
তবে পুরো কর্মকাণ্ড ঠিক কীভাবে পরিচালনা করা হতো, এই অফিসের সঙ্গে আরও কোনও শাখা অফিসে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ৷ তাঁদের এলাকাতে এরকম একটি প্রতারণা চক্র চালানো হত জেনে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারাও।