Mid Day Meal : জলের অভাবে বন্ধ মিড-ডে মিল – mid day meal stopped in durgapur school due to lack of water


এই সময়, দুর্গাপুর ও কাটোয়া:দিন দিন চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। তীব্র জলকষ্টে ভুগছে দুই বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকার মানুষ। তারই মধ্যে জলের অভাবে গত ৩ দিন ধরে মিড-মিলের রান্না বন্ধ দুর্গাপুরের এক প্রাথমিক স্কুলে। বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে আসছে মুচিপাড়া সংলগ্ন কুসুমতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়ারা।

Water Crisis In Bankura : অচল সাবমারসিবল-ভাঙা নলকূপ, তীব্র দাবদাহে পানীয় জলের সংকটে বিষ্ণুপুর
যাদের সে সাধ্য নেই তাদের অভুক্ত অবস্থায় স্কুল করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘স্কুলে ১৯২ জন ছাত্রছাত্রী আছে। এসআই ও পুরসভাকে জানিয়েছি। জল নেই বলে রান্না বন্ধ আছে।’ দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভার সহকারী প্রশাসক অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ দিকে, পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম-২ ব্লকের সীতাহাটি পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে সরকারি প্রকল্পের জল মিলছে না বেশ কয়েকদিন ধরে। একই অবস্থা দুর্গাপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের হ্যানিম্যান সরণি সংলগ্ন এলাকায়। সেখানে রাস্তার ধারে লাগানো পুরসভার জলের কল থেকে জল পড়ছে না। তীব্র দাবদাহের মধ্যে জল না-পাওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ দুই এলাকার বাসিন্দারা।

Water Crisis : তীব্র গরমে ভরসা বলতে ১ টি মাত্র কল, সংকটে জয়নগরের ৫০০ পরিবার
২০২১ সালে ৪ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি জল প্রকল্প তৈরি হয় কেতুগ্রামে। তার মাধ্যমে সীতাহাটি পঞ্চায়েতের উদ্ধারণপুর, বজরাডাঙা, এনায়েতপুর, শাঁখাই, নৈহাটি ও সীতাহাটি- এই ৬টি গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার পরিবারে জল সরবরাহ শুরু হয়। প্রকল্প শুরুর প্রথম কয়েক মাস ভালোই চলেছিল।

Diarrhoea Symptoms : গরমে রক্ষে নেই, ডায়মন্ড হারবার জুড়ে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ
তার পর থেকে কিছু বাড়িতে গেলেও প্রায় ১ হাজার বাড়িতে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সমস্যা এখনও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাঁদের অভিযোগ, দেড় ইঞ্চির পাইপ দিয়ে প্রচুর বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তাতেই জল সরবরাহ হতে সমস্যা হচ্ছে।

Birbhum News : তীব্র দাবদাহে জলের আকাল বীরভূমে! প্রতিবাদে পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলালেন গ্রামবাসীরা
শাঁখাই গ্রামের বৈরাগ্যপাড়ার বাসিন্দা লালু বৈরাগ্য, সুলেখা বাগদের কথায়, ‘বাড়িতে আর্সেনিকের জন্য হাতকলের জল ব্যবহার করা যায় না। বাধ্য হয়ে তীব্র গরমে অনেক দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে।’ সীতাহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান বিকাশ বিশ্বাস বলেন, ‘জলের সমস্যার কথা পিএইচই-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছি। আশা করছি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’ পিএইচই দপ্তরের কাটোয়া মহকুমার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পার্থসারথি সিনহার আশ্বাস, ‘দ্রুত সমস্যা মেটাতে কাজ শুরু হচ্ছে।’

এ দিকে, দুর্গাপুরের হ্যানিম্যান সরণি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা পানীয় জল তো দূর শৌচকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় জল পাচ্ছেন না। কুয়োর জলস্তরও নেমে গিয়েছে। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে সগড়ভাঙা এলাকায় ৪ নম্বর বরো অফিসে বালতি, গামলা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা।

Mid Day Meal : মিড ডে মিলের চালে পোকা! কুলতলির স্কুলে বাসিন্দাদের বিক্ষোভ
অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও বরো অফিসে পুরসভার কোনও প্রতিনিধির দেখা পাওয়া যায়নি। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘গরমে জল পাচ্ছেন না এলাকার প্রায় ২০০ মানুষ। আগামী ৩ দিন আমরা দেখব। পুরসভা জল সরবরাহ না করতে পারলে আমরাই ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ করব।’ পুরসভার মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বাসিন্দারা কী কারণে জল পাচ্ছেন না দেখে নিচ্ছি। এলাকায় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *