পরিবারের দাবি, গত সাত মাস আগে শান্তিপুরের এক ঠিকাদার বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে গুজরাটে পাঠিয়েছিলেন। গণেশ কর্মকার সেখানে যান রান্নার কাজে। গত বুধবার গুজরাট থেকে শান্তিপুরে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে হাওড়াগামী এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন গণেশ কর্মকার সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা।
কিন্তু নাগপুর স্টেশন আসতেই গণেশবাবুর সঙ্গে আর কোনওরকম যোগাযোগ করতে পারেনি তাঁর পরিবার। অন্যান্য ব্যক্তিরা শান্তিপুরে ফিরে আসে। ওই ব্যক্তির আসবাবপত্র ও ব্যাগ নিয়ে। এদিকে গণেশবাবুর পরিবার তাঁদেরকে প্রশ্ন করলে কোনওরকম উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। এরপরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তাঁর পরিবার।
এরপরই যোগাযোগ করা হয় ঠিকাদারের সঙ্গে। অভিযোগ, ওই ঠিকাদার সমস্ত ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এখন পরিবারের একটাই প্রশ্ন যে ব্যক্তিদের সঙ্গে গণেশ কর্মকার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন, তার ব্যাগপত্র ওই ব্যক্তিরা নিয়ে এল, কিন্তু তাকে কেন নিয়ে আসতে পারল না?
তাহলে কি নিখোঁজের ঘটনার পেছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? তবে স্বামী গণেশ কর্মকার নিখোঁজের পর থেকেই তার স্ত্রী নমিতা কর্মকার হয়ে পড়েছেন দিশাহারা। কোথায় স্বামীকে খুঁজে পাবেন এই নিয়ে ঘুরছেন প্রশাসনের দরজায় দরজায়।
এদিকে গণেশবাবুর মেয়ে প্রতিমা বারুইয়ের দাবি, “ইতিমধ্যে আমরা গুজরাট ও হাওড়া রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেলেনি বাবার সন্ধান”। মেয়েরও একটাই প্রশ্ন কিভাবে একজন ব্যক্তি এইভাবে নিখোঁজ হয়ে যান, যেখানে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন একই সঙ্গে বেশ কয়েকজন?
তবে এই ঘটনায় আজ শান্তিপুর থানায়ও একটি নিখোঁজের ডায়েরি করে নিখোঁজ গণেশ কর্মকারের পরিবার। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফিরে আসা বাকি ব্যক্তিদের প্রশ্ন করতে পারে পুলিশ। তখনই হয়ত আসল সত্য বেরিয়ে আসবে, এই আশা করছে নিখোঁজ গণেশবাবুর পরিবার।
