Summer Heat : এক বালতি জলের জন্য গোটা ১ দিনের অপেক্ষা! চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল বাসিন্দারা – villagers of dankuni are suffering from water crisis


West Bengal News : তীব্র গরমে জলকষ্টে ভুগছেন ডানকুনির রঘুনাথপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। তীব্র দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন বেশি করে জল পান করতে। কিন্তু সেই জলেরই আকাল দেখা দিয়েছে রঘুনাথপুরে। ওই পঞ্চায়েতে কয়েকশো পরিবারের বসবাস। এক বালতি জলের জন্য গোটা একটা দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ ৪১ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে জেলাবাসীকে। এমন অবস্থায় রঘুনাথপুরে নেই পর্যাপ্ত পানীয় জলের পরিষেবা। অগত্যা পকেটের পয়সা খরচ করে পানীয় জল কিনে খেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

Water Crisis In Bankura : অচল সাবমারসিবল-ভাঙা নলকূপ, তীব্র দাবদাহে পানীয় জলের সংকটে বিষ্ণুপুর
এক বালতি জলের জন্য দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। কলের সামনে জলের জন্য পড়েছে লম্বা লাইন। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাই সার। জল মিলছে কই! কোথাও আবার দুই তিন দিন ধরে জল আসেনি। এলাকার একাধিক চাপাকল ভেঙে পড়ে রয়েছে। ফলে গরমের তীব্র জল কষ্টে ভুগতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

Birbhum News : তীব্র দাবদাহে জলের আকাল বীরভূমে! প্রতিবাদে পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলালেন গ্রামবাসীরা
গ্রামের স্থানীয় মহিলা সুমি মুখার্জির অভিযোগ, “শেষ তিনদিন ধরে জল আসেনি পুরসভার কলে। উপায় না থাকলেও খাবার জল কিনে খেতে হচ্ছে গ্রামের মানুষদের। কোন কলে যাও বা দু-এক ফোঁটা জল আসে তাও সেখানে লম্বা লাইন। খাবার জল থেকে রান্না করার জল কোনও কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না।

Water Crisis : তীব্র গরমে ভরসা বলতে ১ টি মাত্র কল, সংকটে জয়নগরের ৫০০ পরিবার
পুকুর বা ঝিল না থাকায় সমস্যা আরও বেড়েছে। একমাত্র কলের উপরেই নির্ভরশীল সবাই”। বারবার গ্রামবাসীরা এই বিষয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা তন্ময় পাল বলেন, “গত বছর গ্রীষ্মকালে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এই বছর একটু গরম পড়তেই আবার জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

Heat Stroke : তীব্র দাবদাহে প্রৌঢ়ের মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য দফতর, জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা
রঘুনাথপুরের দীর্ঘদিনের সমস্যা পানীয় জল। এই অঞ্চলের জল সরবরাহ হয় হাওড়া থেকে। পানীয় জলের টিউবওয়েল গুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের বহুদিনকার চাহিদা যাতে তাঁরা পানীয় জলের সমস্যা থেকে মুক্তি পান”।

বর্তমানে সেখানে এমন অবস্থা হয়েছে, যে সমস্ত গরিব পরিবারগুলোর নুন আনতে পান্তা ফুরোয় তাদেরকেও বাধ্য হয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে, জানান তিনি। গ্রামের জল সংকটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান কেষ্ট মণ্ডল।

Heatwave Alert : পয়লা বৈশাখে অস্বস্তিকর জ্বালা ধরাবে গরম! ৬ জেলা নিয়ে সতর্কবার্তা হাওয়া অফিসের
তিনি জানান, “জলের সমস্যার কথা আমরা জানতে পেরে KMDA কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন উত্তরপাড়া জলের জন্য যে প্রজেক্ট করা হয়েছে, সেই প্রজেক্টে হাওড়া থেকে জল এসে সেখানে সংরক্ষণ হবে। সেখান থেকে সরবরাহ করা হবে মিষ্টি জল।

তার মধ্যে বেশ কিছু পাইপ লাইনে মরচে পড়েছে, সেগুলিরও সংস্কারের কাজ চলছে। কয়েক বছর ধরে রঘুনাথপুর এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা আছে। যত দ্রুত সম্ভব জল সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব আমরা”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *