কী প্রতিক্রিয়া CPIM-এর?
শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকেরাজ্যপালের সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu) তাঁকে ‘মত্ত হস্তি, শ্বেত হস্তি’ বলে আক্রমণ করেন। এ প্রসঙ্গে বিকাশ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “এ কথা যদি শিক্ষামন্ত্রী বলে থাকেন, তাহলে তো তাঁর আচার, সংস্কৃতি, সৌজন্যবোধ সম্পর্কে প্রশ্ন উঠে যায়। রাজ্যপাল ঠিক করছেন না ভুল করছেন সে সম্পর্কে সমালোচনা করার পদ্ধতি অন্য। কিন্তু, এ শব্দ ব্যবহার করে থাকলে সৌজন্যের সীমা লঙ্ঘন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। সে পদের মর্যাদা রাখা উচিত।”
রাজ্যপালকে সমর্থন BJP-র
BJP-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে কার্যত ইউভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ রেগুলেটরি বিল এনে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীকার, নিজস্বতা এবং স্বশাসনকে ধ্বংস করেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী একসময় বলেছিলেন টাকা দিই নাক গলাব না কেন। ক্ষমতার কেন্দ্রীকতা করতে গিয়ে সেই মন্ত্রী এখন জেলে। ওএমআর শিট পাওয়া যাচ্ছে চুড়িদারের প্যাকেটে। অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া যাচ্ছে প্রোমোটারের অফিসে। কার্যত স্কুল শিক্ষা উঠে যাচ্ছে। শিক্ষার সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করার জন্য তৃণমূল নামে মত্ত হস্তিকে রুখতে রাজ্যপাল শ্বেত হস্তির পদচারণা করছেন।”
কী বলেন ব্রাত্য বসু?
এদিনসাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন, “শ্বেতহস্তির মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল।মুখ্যমন্ত্রীকে না বলে উপাচার্য নিয়োগ করছেন। যেখানে সেখানে চলে যাচ্ছেন, অনুদান দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম নিজে ঠিক করে ফেলছেন। গণমাধ্যমে পর্যন্ত তা জানাচ্ছেন না। এগুলো না করে বরং এতদিন ধরে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল আটকে রয়েছে, সেগুলো সই করুন। রাজ্যের, রাজ্যবাসীর এবং উচ্চশিক্ষার সঙ্গে জড়িতদের আকাঙ্খাকে মর্যাদা দিন। নইলে শিবসেনা যে কথা বলেছিল, ঠিক সেইরকমই শ্বেতহস্তির মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। মত্ত হস্তির মতো সমস্ত বিদ্যালয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এটা আমাদের সমীচীন ঠেকছে না।”
ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ফের একবার সংঘাতের পথে রাজ্য-রাজ্যপাল। প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের পথেই কি হাঁটবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস?