Bakkhali Sea Beach : সমুদ্রের ভোলবদল, নেই পর্যটকদের ভিড়! নববর্ষে খা খা করছে বকখালি সি বিচ – bakkhali sea beach of dakshin 24 pargana is facing lack of tourist attention


সারাবছরই কমবেশি ভিড় লেগেই থাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বকখালিতে। ইংরেজি নববর্ষে তিল ধারণের জায়গা থাকেনা বকখালি সমুদ্র সৈকতে। কিন্তু, এই বছরের বাংলা নববর্ষের ছবিটা খানিক আলাদা। শনিবার পয়লা বৈশাখ, রবিবার ছুটি। কিন্তু, তাসত্ত্বেও বছরের প্রথম দিন ধু ধু করছে বকখালির সমুদ্র সৈকত।

শুনশান সমুদ্র সৈকতে দেখা মেলেনি কোনও পর্যটকের। বকখালি সমুদ্র সৈকত কার্যত খা খা করছে। নববর্ষে বকখালি সমুদ্র সৈকতে পর্যটক না আসার কারণে মাথায় হাত পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। বছরের প্রথম দিনেই মন খারাপ আইসক্রিম থেকে শুরু করে ডাব বিক্রেতার।

Digha Beach: বিপদ আসন্ন? ধু ধু করছে দিঘার সমুদ্র সৈকতে মাইকিং প্রশাসনের, হলটা কী?
ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সমুদ্রের নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে আগের তুলনায় পর্যটকদের সংখ্যা অনকেটাই কমেছে। তার উপর তীব্র এই দাবদাহের কারণেই পর্যটকরা আর বকখালি মুখো হতে চাইছেন না। শীতকালে যে বকখালি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়ে ও পর্যটকদের কোলাহলে গমগম করত, সেখানে এখন শ্মশানের স্তব্ধতা।

য়াস, আমফান থেকে শুরু করে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বকখালির ঝাউবন থেকে শুরু করে অধিকাংশজিনিসই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফলে বকখালির শোভা আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে। সেটাও পর্যটক কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সেখান হোটের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের তরফে ড্রেজিংয়ের বন্দোবস্ত করা হলে সমুদ্র আরও কাছে চলে আসবে এবং পর্যটকদের ভিড় বাড়বে।

Digha Beach: সমুদ্রপাড়ে ‘কফি হাউস’-এর আড্ডা! মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দিঘায় স্বরবর্ণ ক্যাফে
অনাথ বন্ধু দোলুই নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “শীতের মৌসুমে পিকনিকের কারণে অনেকেই বকখালিতে আসেন। তবে শীতকাল কেটে গেলে বকখালিতে আর সেভাবে পর্যটকদের দেখা মেলে না। পর্যটকদের অনুপস্থিতির কারণে বকখালি পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ছে। কয়েক কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে এই গরমের মধ্যে সমুদ্রে স্নান করতে চাইছে না, বহু পর্যটক। সেই কারণেই তাঁরা আর এখানে আসতে চাইছেন না।”

Darjeeling Tour : শিলিগুড়ি থেকে পাহাড় যেতে নাকাল পর্যটকরা, বাড়তি ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ
স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ জানা এই প্রসঙ্গে বলেন, “ইংরেজি নববর্ষে বকখালিতে পর্যটকদের ভিড় থাকলেও বাংলা নববর্ষে সেই ভিড় আর চোখে পড়ে না। বকখালি সমুদ্র সৈকতের নাব্যতা অনেকটা কমে গিয়েছে। সেই কারণে সমুদ্রের জল অনেক দূরে চলে গিয়েছে। পর্যটকরা এখানে এসে আর সমুদ্র স্নানের মজা উপভোগ করতে পারেন না। অন্যদিকে এবার রেকর্ড পরিমাণে গরম পড়েছে। সেই কারণে পর্যটকরা বকখালিকে এড়িয়েই চলছেন। যদিও নতুনভাবে বকখালিকে সাজিয়ে তোলার প্রচেষ্টা এখন শুরু হয়েছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *