পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবেশীদের থেকে কোনও সাহায্য না পেয়ে ওই নাবালিকা নিজেই পৌঁছয় সাঁইথিয়া থানায়। সেখানে গিয়ে পুলিশকে গোটা ঘটনার কথা জানায় সে। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুই কাকাকে গ্রেফতার করেছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম স্বপন হাঁসদা এবং সময় হাঁসদা।
গ্রেফতারির পর ধৃতদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। শুনানির পর আদালত তাঁদের ১৭ এপ্রিল অবধি পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী শুভাশিষ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “৩৭৬ ডি এবং ছয় পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের পক্ষ থেকে কেউ জামিনের আবেদন করে নি তাই কোনও জামিনের আবেদন আদালতে পেশ করা হয়নি। পুলিশ পাঁচ দিনের জেল হেফাজত চেয়েছিল, আদালত তা মঞ্জুর করেছে। ধর্ষণের কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তাঁদের তরফে যেহেতু কোনও আইনজীবী ছিল না, সেই কারণে বিষয়টা স্পষ্ট নয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।”
আদালত থেকে বেরনোর মুখে ভাইজিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নেয় দুই অভিযুক্ত। সেখানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁদের প্রশ্ন করা হলে অভিযুক্তরা বলেন, “ভাইজিকে রেপ করেছি। আমরা দু’জন মিলেই এই কাজ করেছি। নেশার ঘোরে বুঝতে পারিনি।”
অন্যদিকে কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ভাঙরে এমনই এক পৈশাচিক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল।বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নাবালিকার বাবার বন্ধু এসে তাঁর কাছে জল চায়। জলের গ্লাস নিয়ে এলেই ঘর বন্ধ করে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভাঙড় থানার পুলিশ।