স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন ছাত্র তোর্সা নদীতে স্নান করতে নামে। সেই সময় হঠাৎই জলের স্রোতে ভেসে যায় সম্রাট সহ চারজন। স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও সম্রাট তলিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও সম্রাট তলিয়ে যায়।দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা চালিয়েও তার কোনও খোঁজ পাননি স্থানীয়রা। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। পরে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গিয়ে ডুবুরি নামিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চালান। কিন্তু তাতেও ওই ছাত্রের খোঁজ মেলেনি। সন্ধ্যা নেমে আসায় এদিনের মতো তল্লাশি বন্ধ রাখা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ বিভাগের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র লস্কর এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি বিকেলেই খবর পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলাম। আমরা এই ঘটনায় ভীষণ উদ্বিগ্ন বোধ করছি। তবে যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে তারা এই মুহূর্ত সুস্থ রয়েছে।’ অন্যদিকে ওই ছাত্রের খোঁজ করার পাশাপাশি তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়াতেও এদিন একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। নববর্ষের দিন গুপ্তিপাড়ার বিপদজনক ঘাটে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল এক যুবক। বছর কুড়ির ওই যুবকের নাম মনোজ শর্মা। বাড়ি গুপ্তিপাড়া ২ নং পঞ্চায়েতের রথের সড়ক এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুর ১২ টা নাগাদ গঙ্গায় স্নান করতে যায় মনোজ। দুপুর ২টো বেজে গেলও বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজ। ঘাটের কাছে পাওয়া যায় মনোজ এর বেল্ট,প্যান্ট মানিব্যাগ। স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে খোঁজ করে তাঁর সন্ধান পাননি। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ডাকা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। স্পিড বোট নামিয়ে চলে তল্লাশি। বিকাল পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি যুবকের।