বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। যদিও সেই সময় হৈমন্তীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন গোপাল। তাঁর দাবি ছিল, হৈমন্তী এই বিষয়ে কিছু জানেন না। একইসঙ্গে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে CBI। তৃণমূল বিধায়কজীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে এবং শ্বশুরবাড়িতে চলছে CBI তল্লাশি। এবার তদন্তকারীদের নজরে গোপাল।
নিয়োগ দুর্নীতিতে কী ভূমিকা গোপালের?
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তুষ্ট করার পথ বাতলে দিতেন গোপাল। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একাধিকবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ED-CBI। কুন্তলের গ্রেফতারির পর একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়। তা গোপাল দলপতির অস্বস্তি বাড়াতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছিল।
কে এই গোপাল দলপতি?
অংকের শিক্ষক গোপাল একটিপানের দোকানেকাজ করতেন। এই দোকানের উপর নির্ভর করেই তাঁর সংসার চলত। তাঁর বাবা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর দমদম ক্যান্টনমেন্টের এই পানের দোকানের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন গোপাল।
তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানান, বহু অফিসাররা দোকানে পান খেতে এসে নিজেদের মধ্যে গল্প করতেন। সেই সময় তিনি তাঁদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি পড়াশোনা নতুন করে শুরু করেন। মতিঝিল কলেজ থেকে অংক নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। একসময় তিনি টিউশন পড়াতেন। ধীরে ধীরে অংকের শিক্ষক হিসেবে নামডাক হয় তাঁর।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রীহৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়েরনাম। টাকা প্রসঙ্গে তিনি জানেন বলেও দাবি করেছিলেন কুন্তল।
যদিও সেই সময় তিনিহৈমন্তীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “অনেকেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আমার নাম নিচ্ছে। আমার তাতে আলাদা কোনও সমস্যা নেই।” হৈমন্তী এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলেই মন্তব্য ছিল তাঁর।