Nadia Shootout : হাঁসখালির শাসক নেতা খুন, হুগলি থেকে গ্রেফতার বাবা-ছেলে! – two arrested from hooghly for taking life of hanskhali nadia trinamool congress leader


নদিয়ার হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় হুগলি থেকে গ্রেফতার বাবা-ছেলে। ধৃতরা হল শেখ গিয়াসউদ্দিন বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে শাহিন বিশ্বাস। বৈঁচি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে শনিবার এই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। ধৃতদের ইতিমধ্যে হাঁসখালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ই এপ্রিল সকালে হাঁসখালি থানার চুপরি বাজার এলাকায় আহমেদ আলি বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসেবেই পরিচিত। এই ঘটনায় আগেই স্থানীয় এক চায়ের দোকানের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Surendra Matiala : পার্টি অফিসে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি! দিল্লিতে খুন বিজেপি নেতা
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গিয়াসউদ্দিন ও শাহিন ওই তৃণমূল নেতার খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাঁদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এমনকি তাদের খোঁজে ভিন রাজ্যে গিয়েছিল পুলিশ।

ওই দুজনকে গ্রেফতারির পর পুলিশের অনুমান, ভিন রাজ্য থেকে থেকে পুলিশের তাড়া খেয়ে কোনওভাবে পালিয়ে এসে বৈঁচিতে তাঁদেরই কোনও এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল বাবা ও ছেলে। সোর্স মারফত পুলিশের কাছে তাঁদের সেখানে লুকিয়ে থাকার খবর যায়।

Dakshin 24 Pargana : কুলতলিতে পুলিশের জালে কুখ্যাত দুষ্কৃতী, উদ্ধার কার্তুজ সহ আগ্নেয়াস্ত্র
খবর পেয়ে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ আধিকারিক অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলে অভিযান। শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ বৈঁচি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ। পরে হাসখালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

রাজ্যের একের পর শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটেই চলেছে।৭ এপ্রিল আহমেদ আলি বিশ্বাস নামে ওই তৃণমূল নেতা বাড়ির নিকটবর্তী বাজারে গিয়েছিলেন।সেখানেই মোটর বাইকে চেপে আসে বেশ কয়েকদন দুষ্কৃতী। আহমেদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে তাঁরা। কথা কাটাকাটি শুরু হতেই সামনে থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালানো হয়।

Alipurduar News : মাকে গলা টিপে খুন ছেলের, চাঞ্চল্যকর ঘটনা আলিপুরদুয়ারে
গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। আহমেদ আলি বিশ্বাস রামনগর বড় চুপড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। প্রত্যেকদিনের মতোই সেদিনও ভোরবেলা সেই বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন আহমেদ। তখনই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *