Online Recruitment Scam : ব্যাঙ্কে চাকরির নামে তৈরি ভুয়ো ওয়েবসাইট! পুলিশের জালে iPhone ব্যবহারকারী প্রতারক – hooghly rural police arrested a gang for giving fake job opportunity


রাজ্য যখন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তোলপাড় তখন হুগলিতে চাকরির নামে অভিনব প্রতারণার পর্দাফাঁস করল পুলিশে। ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে চাকরিপ্রার্থীদের ব্যাঙ্কে চাকরির নামে প্রতারণা। শিক্ষিত প্রতারকদের কীর্তি জানতে পেয়ে পুলিশ আধিকারিকরাও অবাক হয়ে গিয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিবেনীর বাসিন্দা মনোজিৎ সাউ গত ১লা ফেব্রুয়ারী মগড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানিয়েছেন, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি নামে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। মনোজিৎ ও তাঁর স্ত্রী প্রতারিত হয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়।

Recruitment Scam: সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেফতার পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএম নেতা
অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নদিয়া জেলার রানাঘাট থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম চন্দন রায়,সৌগত বৈরাগী,অর্নব বিশ্বাস, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় ও সঞ্জয় দাস। ধৃতদের প্রত্যেকেই রানাঘাটের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

ধৃতদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে পুলিশ।বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে শুক্রবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়। শুনানির পর আদালত তাঁদের ছয়দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

Fake Call Centre : স্বাস্থ্য পরিষেবার নামে প্রতারণার ফাঁদ! ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ বারুইপুরে, ধৃত ৫
হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌমদ্বীপ ভট্টাচার্য আজ মগড়া থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিন বলেন, “এই চাকরি প্রতারণা চক্র আগেও একবার কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। ধৃতদের মধ্যে সুজয় দাস কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করেছে। প্রতারণার জন্য টপ মডেলের আইফোন ব্যবহার করা হত। বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েব সাইট তৈরি করে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে জাল ছড়িয়ে সেখান থেকে শিকার ধরত অপরাধীরা।”

Kolkata Police: চাকরির বিনিময়ে লাখ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ, ধৃত কলকাতা পুলিশের ACP

পুলিশ সুপার আরও বলেন, “ফর্ম ফিলাপের জন্য প্রথমে অল্প এবং তারপর রেজিষ্ট্রেশনের নামে কয়েক হাজার টাকা চাকরিপ্রার্থীদের থেকে নেওয়া হত। তারপর চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়ার নাম করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। মূলত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে এই প্রতারনা চক্র ফেঁদে বসেছিল অভিযুক্তরা।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের থেকে আরও অনেকের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গেও তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই তদন্তে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সাইবার সেল সাহায্য করেছে। গত এক মাসে সাইবার প্রতারণার ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার ও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *