একেবারে সিনেমার গল্পের মত এই ঘটনায় মানুষজন ভীতসন্ত্রস্ত। এই ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে। এখনও পুলিশ এই ঘটনার কিনারা করতে পারেনি। CCTV ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীদের যদিও কারও মাথায় হেলমেট, কারও মুখে মাস্ক কিংবা কাপড়ে চোখমুখ ঢাকা। এরা স্থানীয় নাকি বহিরাগত তাও এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। এদিকে এই পরিস্থিতিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শহরের সাধারন মানুষ। এই ঘটনার জেরে নববর্ষের ছন্দে কোথাও একটা তাল কেটেছে তা বলাই বাহুল্য।
পাড়ার ঠেক থেকে চায়ের দোকান কিংবা ঘরোয়া গল্পের আসরেও এখন এই ডাকাতির ঘটনা চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহর জুড়ে এত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। পুলিশি নাকা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিকের নজরদারি এতকিছুর পরেও শহরের একেবারে মধ্যস্থলে দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকল কি করে?
তারপর আবার এত হীরে, সোনা, জহরত নিয়ে বেরিয়েই বা গেল কি করে? প্রশ্ন উঠছে জনমানসে। অবিলম্বে পুলিশি সক্রিয়তার দাবী জানিয়েছেন শহরের সর্বস্তরের মানুষজন। বঙ্গীয় স্বর্নশিল্পী তথা স্বর্ন ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সম্পাদক তড়িৎ লাহিড়ী জানান, “গত ৩০ বছরের মধ্যে রায়গঞ্জ শহরে এতবড় ঘটনা ঘটেনি।
এর জেরে সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট আতঙ্কিত। নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে এখন স্থানীয় স্বর্ন ব্যবসায়ীরা বেশ চিন্তিত। কোন পথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন তা ভেবে উঠতে পারছেন না তারা”। অবিলম্বে এক্ষেত্রে পুলিশি নিরাপত্তা ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে সরব হন তড়িৎ বাবু। গোটা ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহঃ সানা আখতার ফোনে জানিয়েছেন, “তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এক্ষুনি কিছু বলা যাবে না”। খুব তাড়াতাড়ি এই ঘটনায় জড়িতরা ধরা পড়বে বলে আশাবাদী তিনি।