ঘটনাস্থলে হাজির হয় বর্ধমান থানার পুলিশ। ডাম্পারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চার চাকা গাড়িটিকে ধাক্কা মারে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চার চাকা গাড়িটিতে চালক সহ চারজন আরোহী ছিলেন।
একই পরিবারের তিনজন একটি চারচাকা গাড়ি করে বুদবুদ থেকে বর্ধমানের দিকে আসছিলেন। পরিবারের কাউকে ডাক্তার দেখানোর জন্য তাঁরা বর্ধমান যাচ্ছিলেন বলে খবর। সেই সময়ই গাড়িটি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গলসী চৌমাথা এলাকায় চার চাকার গাড়িটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি ডাম্পার। ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গেই চারচাকা গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় গাড়ির চালক সহ আরও একজন যাত্রীর। গুরুতর আহত অবস্থায় গাড়ির বাকি দু’জন যাত্রীকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে,আহত ২ জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেনিয়ে আসার পর তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতায় পিজি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অপরজন চিকিৎসাধীন বর্ধমান হাসপাতালেই। মৃত দুই জনের আজ ময়নাতদন্ত হবে বর্ধমান পুলিশ মর্গে।
মৃতের পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, “গাড়িটি পুরো দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। দুটো প্রাণ চলে গেল। যে মহিলা মারা গিয়েছে, তিনি লোকের বাড়ি কাজ করে আয় করতেন। দুটো বাচ্চা রয়েছে তাঁর। কিছু ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।” মৃতের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসেও গলসিতে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন জনের।পূর্ব বর্ধমানে ২ নং জাতীয় সড়কের গলসির পারাজ মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। কাঁকসা থানার বাঁদরা গ্রাম থেকে গলসির গলিগ্রামে বাইকে করে আসার পথে ২ নং জাতীয় সড়কের পারাজ মোড়ে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে কার্যত পিষে দেয় একটি ট্রাক।
বাবুল কোনাই, রাহুল বাগদী এবং জয়দেব বাগদী নামে তিনজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর ঘাতক গাড়িটি পালিয়ে যায়। ওই তিন বাইক আরোহীর মাথায় হেলমেট ছিল না বলেই প্রাথমিকভাবে জানা যায়।