পঞ্চায়েত সদস্যার দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে BJP। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যে নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো।
আর তার আগে গ্রামের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এলাকা। নাটাবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলের থাকলেও গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন ও ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এখানে BJP-র ফল ভালো হয়। গত কয়েকবছরে তলে তলে সংগঠন মজবুত করে নিয়েছে।
আর তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শনিবার রাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা অনিতা দাসের বাড়ির সামনে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বেশ কিছু স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন। খবর পেয়ে রাতেই তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।যদিও BJP-র ২৮ নং মণ্ডল সভাপতি চিরঞ্জীব দাস জানান তৃণমূলের তরফে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন। BJP বোমা মারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।
তৃণমূলের এর গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে ওই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, “তৃণমূলের একটি পঞ্চায়েত আসনের পাঁচটি, সাতটি করে মানুষ প্রার্থী হতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাঁরা এখন এই পদ্ধতি নিয়েছে। পঞ্চায়েত আগে মানুষের মধ্যে ভয় ঢোকানোর জন্য, সুষ্ঠু পরিবেশে নষ্ট করার জন্য এসব করছে।”
তবে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদ্যসের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও তুফানগঞ্জে তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়। তুফানগঞ্জের চিলাখান ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ঘোগারকুঠি এলাকায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে বোমার নমুনাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।