Jaldapara Elephant Safari : মাহুতদের কর্মবিরতির জেরে জলদাপাড়ায় বন্ধ হাতি সাফারি, হতাশ পর্যটকরা – jaldapara elephant safari stopped for strike of elephant caretakers


West Bengal News : স্থায়ীকরণ, মাসোহারা বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি আলিপুরদুয়ারের মাহুত ও পাতাওয়ালাদের। ফলত, জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে বন্ধ হাতি সাফারি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটন। হাতিগুলোর দেখভালের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা।

আগামী রবিবারের মধ্যে তাঁদের দাবি মানা না হলে হাতিদের পরিচর্যার কাজও তাঁরা বন্ধ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ১৪৫ জন অস্থায়ী মাহুত ও পাতাওয়ালা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ১৯৯৭ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত স্থায়ী মাহুত পদে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। পাতাওয়ালাদের শূন্যপদে নিয়োগ করা হয় না।

Alipurduar News : ৫ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে পড়ে রাস্তা, বছরের প্রথম দিনে কোদাল- বেলচা হাতে কাজ শুরু গ্রামবাসীদের
পাশাপাশি, দীর্ঘদিন বেতন বৃদ্ধি করা হয়নি। মাহুতরা জানান, বর্তমানে তাঁরা মাসিক ৭২৪০ টাকা পান। এই বাজারে যা দিয়ে সংসার চালানো অত্যন্ত কঠিন।পাশাপাশি, মাহুতরা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে শুধুমাত্র বীমার টাকা ব্যবস্থা করে বন দফতর।

দুর্ঘটনায় মাহুতদের মৃত্যু হলে তাঁদের পরিবারের কোনও ব্যক্তিকে কাজ দেওয়া হয় না। এরকম মোট চারটি দাবি নিয়ে গত দুদিন ধরে কাজ বন্ধ রেখেছে মাহুতরা।
অন্যদিকে, মাহুতদের কাজ বন্ধ রাখার জন্য পর্যটকদের জন্য হাতি সাফারি বন্ধ। অগ্রিম যাঁরা টিকিট কেটে রেখেছিলেন তাঁদের হাতি সাফারি বাতিল করা হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই, ক্ষুব্ধ পর্যটকরা। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ৮৩ টি কুনকি হাতি আছে। পাতাওয়ালা ও মাহুত আছেন ৭৮ জন করে। আগামী দিনে এই কর্মবিরতি চলতে থাকলে জলদাপাড়ার পর্যটন মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

Alipurduar News : মাকে গলা টিপে খুন ছেলের, চাঞ্চল্যকর ঘটনা আলিপুরদুয়ারে
যদিও বন দফতর সূত্রে খবর, মাহুতদের স্থায়ীকরণের ও মাসোহারা বৃদ্ধির বিষয়টি রাজ্যের অর্থ দফতরের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে। তবে আন্দোলনকারী পাতাওয়ালা ও মাহুতরা জানিয়ে দিয়েছে রবিবারের মধ্যে বন দফতর তাঁদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি নিশ্চিত না করলে তাঁরা হাতিদের খাওয়ানোর কাজও বন্ধ করে দেবে।

জলদাপাড়া অভয়ারণ্য সূত্রে খবর, কুনকি হাতিগুলির জন্য প্রতিদিন দুই কুইন্টাল খাবার এবং ১০০ লিটার পানীয় জল সরবরাহ করতে লাগে। প্রচণ্ড গরমে পানীয় জলের চাহিদা আরও বেড়েছে। তার সঙ্গে স্নানের জন্য জলের ব্যবস্থা করতে হয়। এই সমস্ত কাজের দায়িত্ব থাকে মাহুতদের।

Alipurduar News : বর্ষা এলেই শুরু হয় নদী ভাঙন, এখন থেকেই আতঙ্কে আলিপুরদুয়ারের গ্রামবাসীরা
আগামী দিনে মাহুতরা কাজ বন্ধ করলে যে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক তা বলাই বাহুল্য। মাহুতদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *