প্রসেনজিত্ মালাকার: ম্য়ারাথন ৬৫ ঘণ্টার জেরা মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে আনা হল নিজাম প্যালেসে। শুধুমাত্র নিয়োগ দুর্নীতি নয় গোরু পাচারের সঙ্গে না জড়াচ্ছে তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণের নাম। তার বিপুল সম্পত্তি ও বাড়ি থেকে পাওয়া নথিই তাকে শেষপর্যন্ত ফাঁসিয়ে দিল। সেই টাকা তিনি কীভাবে কামিয়েছেন তা জানেন না জীবন কৃষ্ণের বাবা। উল্টো ছেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বৃদ্ধ।
আরও পড়ুন-জীবনকষ্ণ সাহার বাড়ি থেকে উদ্ধার নথি, পাওয়া গেল চাকরির জন্য নির্দিষ্ট রেটচার্ট
জীবন কৃষ্ণ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তার একাধিক সম্পত্তির হদিস পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার। এরকম এক পরিস্থিতিতে তৃণমূল বিধায়ক সম্পর্কে তাঁর বাবার দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ওর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। এমনকি আমার ব্যবসার নানা ভাবে ক্ষতি করতে চেয়েছে ছেলে। মিড ডে মিলের লাইসেন্স করতে গেল সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে। ছেলে যদি দুর্নীতি করে থাকে তাহলে সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। এনিয়ে আমার কিছু বলার নেই। এত পরিমাণ সম্পত্তি ও কীভাবে করল তা তার জবাব ওই দেবে।
জিজ্ঞাসাবাদে অসহযোগিতা করছেন জীবনকৃষ্ণ। এমনটাই জানা যাচ্ছে সিবিআই সূত্রে। বিধায়ক হওয়ার পর চাকরি ছেড়ে দেন। পাশাপাশি, টাকার বিনিময় চাকরি দেওয়ার চক্রে জড়িয়ে পড়েন। চাকরির ধরন অনুযায়ী রেট বেঁধে দিয়েছিলেন। এভাবেই কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। এমনটাই সূত্রের খবর। সেইসব বিপুল টাকা কোথায় তা নিয়েই জেরা করতে চায় সিবিআই। এদিকে জীবনকৃষ্ণের বাবার নামে আলুর স্টোর, চালের ডিস্ট্রিবিউটারশিপ-সহ আরও কিছু ব্যবসা রয়েছে। এদিকে তার বাবা বলছেন ছেলের ব্যাপারসাপার জানি না।
রাজ্যের একাধিক নেতা দুনিীতিতে জড়িয়ে গিয়েছেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, দেশের দুর্নীতিকে ছাপিয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। তবে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের দাবি, বেছে বেছে কিছু লোককে ধরা হচ্ছে।
শিক্ষা দুর্নীতির পাশাপাশি গোরুপাচারের নাম জড়িয়েছে জীবনকৃষ্ণের। বীরভূমে তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। শিক্ষা দুর্নীতির ক্ষেত্রে জীবনকৃষ্ণের জাল বিভিন্ন জেলায় ছিল বলে জানা যাচ্ছে। আজ তাঁকে আদালকতে তুলে হেফাজতে চাইবে সিবিআই।