Atiq Ahmed Case: আতিককাণ্ডের পর হাইপ্রোফাইল আসামীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, সমাধান কোন পথে? – under trial prisoners should not talk with media says ex police top brass after atiq ahmed case


উত্তর প্রদেশ পুলিশের চোখের সামনেই গুলিতে ঝাঁঝরা গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরফ। সাংবাদিকের ছদ্মবেশে গুলি চালায় আততায়ীরা। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তাদের একাংশ।

গোরু ও কয়লা পাচার থেকে শুরু করে, স্কুলে নিয়োগে বেনিয়ম বা দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলা। গত কয়েক মাসে একের পর এক হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। এর মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মানিক ভট্টাচার্য বা অনুব্রত মণ্ডল।

কিন্তু গ্রেফতারির পরও এই অভিযুক্তদের দিব্যি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। মূলত আদালতে তোলা বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদেরকে ঘিরে ধরে প্রশ্ন করেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দিয়েছেন অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীরা।

Atiq Ahmed News : ‘উত্তরপ্রদেশের নির্লজ্জ নৈরাজ্য!’ গ্যাংস্টার আতিক হত্যাকাণ্ডে হতবাক মমতা
সাম্প্রতিক অতীতে পুলিশি হেফাজতে থাকা নেতা-মন্ত্রীদের এহেন আচরণ ঘিরেই আপত্তি তুলেছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তারা। অভিযুক্তদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা উর্দিধারীদের এই ঢিলে ঢালা মনোভাবের জেরে বড় বিপদ নেমে আসতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তাঁরা।

খুন, অপহরণ থেকে শুরু করে দুর্নীতি বা টাকা পাচার। গ্রেফতারির পর অভিযুক্তদের নিরাপত্তায় ঠিক কী কী নিয়ম মানতে হয় পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থাকে?

নিয়ম অনুযায়ী, গ্রেফতারির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আদালতে তুলতে হয় অভিযুক্তকে। আদালতে চত্বরে থাকে কোর্ট লক আপ। পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থা অভিযুক্তকে ওই লক আপ পর্যন্ত নিয়ে যান। পরে তাঁকে লক আপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Atiq Ahmed Death: গুলিতে ঝাঁঝরা মাথা-মুখ-বুক-পিঠ, ১৪ বুলেটে খতম গ্যাংস্টার আতিক-আশরফ
আদালতে সওয়াল-জবাব শেষে ফের ওই অভিযুক্তকে পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেন কোর্ট লক আপের নিরাপত্তা রক্ষীরা। এর পরই জামিন না হলে তাঁকে আদালতের নির্দেশ মেনে জেল বা পুলিশি হেফাজতের নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এদেশের পুলিশ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা তো দূরে থাক, আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন না অভিযুক্ত। কোর্ট লক আপে অবশ্য পরিবারের একজন সদস্য বা আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে তার জন্য আবেদন জানাতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। একই নিয়ম অভিযুক্তের মেডিক্যাল করানোর সময়ও প্রযোজ্য।

Anubrata Mondal: ‘গরমে কাহিল, শরীর ভালো নেই’, তিহাড়ের মেয়াদ বৃদ্ধিতে কষ্টে কেষ্ট!
এই প্রসঙ্গে তাৎপূর্ণ মন্তব্য করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন IG পঙ্কজ দত্ত। তাঁর কথায়, “পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্তদের এভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।” তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *