অবিলম্বে দণ্ডি কাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করলে সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামি দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এদিকে বনধের কারণে এদিন সকাল থেকেই বালুরঘাট পাবলিক বাস স্ট্যান্ড থেকে বেসরকারি যান চলাচল করছে না। অন্যদিকে সরকারি বাস চলাচল শুরু হলেও তা আটকে দেন আন্দোলনকারীরা৷
এদিকে বনধকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশাল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বালুরঘাট শহর সহ জেলা জুড়ে। মূলত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি পিকেটিং রয়েছে। এছাড়াও মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে পুলিশ নজর রাখছে৷
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৭ তারিখে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর অভিযোগ ওঠে। এর পরবর্তী সময়ে বিষয়টি জনসমক্ষে আসতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক প্রভাব পড়ে যায়। এরপর আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের পক্ষ থেকে সারা রাজ্যে ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়।
এই দিন বনধ সমর্থকদের পক্ষ থেকে জানা যায়, এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে প্রদীপ্তা চক্রবর্তী যুক্ত আছেন তাকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতার করেনি। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যিনি যুক্ত আছেন, তাকে গ্রেফতার না করলে খুব শীঘ্রই সারা ভারতবর্ষ ব্যাপী আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনের নেতৃত্বরা।
এই বিষয়ে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান নেতা বিক্রম মুর্মু বলেন, “আমাদের এই বনধের ঘোষণা তিনদিন আগেই করা হয়েছে। বুঝতে পারছি সাধারণ মানুষদের অসুবিধে হচ্ছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। কিন্তু আমাদেরও কিছু নির্দিষ্ট দাবি দাওয়া আছে। আদিবাসী মহিলাদের দিয়ে দণ্ডি কাটানো হলেও, মূল অভিযুক্ত এখনও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হননি। মূল অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
বাস স্ট্যান্ডে বাস ধরতে আসা এক যাত্রী সাগর সাহা বলেন, “অফিসের কাজে যাব বলে বাস ধরতে এসেছি। এসে দেখছি এখনও বাস চলাচল শুরু হয়নি। কখন শুরু হবে কেউ বলতে পারছেন না।”