ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত ৮:৩০ মিনিট নাগাদ অণ্ডালের খাঁন্দরা পঞ্চায়েতের সিদুলি বাউড়িপাড়ায়। অভিযোগ, এই এলাকায় দীর্ঘদিনের জলের সংকট। পঞ্চায়েতকে বলেও কোন কাজ হয়নি। সে কারণেই এলাকার একটা কলে পাম্প লাগিয়ে যাতে জল ওঠে তারই ব্যবস্থা করেছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। একটু পানীয় জলের আশায় বিপদ জেনেও এই ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়েছিলেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার পঞ্চায়েতকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল সিদুলির বাউড়িপাড়া এলাকায় তীব্র জলের সংকট কিন্তু পঞ্চায়েত কোনরকম কর্ণপাত করেননি তাঁদের কথায়। রবিবার রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ এলাকার বাসিন্দা অপর্ণা বাউড়ি জল আনতে গিয়ে পাম্প চালু করতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে অণ্ডাল থানার বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার বাউড়ি সম্প্রদায়ের লোকেরা বিক্ষোভ ফেটে পড়েন পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। সিদুলি বাউড়িপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শক্তি বাউড়ি অভিযোগ করেন, বর্তমান শাসকদল ঘরে ঘরে জল প্রকল্পের কথা বলছেন কিন্তু এই বাউড়িপাড়া এলাকায় ঘরে ঘরে লাগেনি জলের কোন সংযোগ।
যে কারণে রাত্রিবেলা কলে জল আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন তাদের পাড়ার এক মহিলা। ঘটনায় এলাকার বাউরি সম্প্রদায়ের লোকেরা এবারের পঞ্চায়েত ভোটে ভোট না দেবার হুমকি দিয়েছেন।মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে খান্দরা পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামলন্দু অধিকারী এলাকায় জল কষ্ট রয়েছে এ কথা স্বীকার করেন। তবে বাড়ি বাড়ি যে জলের কলের ব্যবস্থা সেটা সম্পূর্ণরূপে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের। আমরা বারবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে জানিয়েছি। কিন্তু বহু জায়গায় এখনও বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ।
পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে গতকাল সেটা সত্যিই মর্মান্তিক দুঃখজনক। আগামী দিনে খুব শীঘ্রই এলাকায় জলের সমস্যার সমাধানের পথ।” আগামীদিনে কী ভাবে জলের সমস্যার সমাধান হয় এ বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।