২০২১ সালে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থেকে তৃণমূলের টিকিটকে প্রথমবারের জন্য বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সে সময় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি নিজের সম্পত্তির উল্লেখ করেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ সালে তিনি মোট ৫ লাখ ৪১ হাজার ৭৪০ আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। ওই অর্থবর্ষেই তাঁর স্ত্রী টগরী সাহা জমা করেছেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ৪৯০ টাকার আয়কর রিটার্ন।
ওই সময় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার হাতে ছিল ৩৬ হাজার ৩১০ টাকা। তাঁর স্ত্রী টগরীর হাতে ছিল ৮ হাজার ২৮০ টাকা। তৃণমূল বিধায়কের মোট আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যেগুলিতে রয়েছে যথাক্রমে পাঁচ লাখ, ৫ লাখ ৩২ হাজার ৪১১ টাকা, ৮ লাখ ২৬ হাজার ৫৬৯ টাকা, ৬ লাখ ১১ হাজার ৯৬৪ টাকা, ৪০ লাখ ৬ হাজার ৪১২ টাকা, ২ লাখ ২৫ হাজার ৩৪ টাকা, ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৯০ টাকা এবং ১০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। সেগুলিতে রয়েছে যথাক্রমে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ১০১ টাকা, ১ লাখ ৬ হাজার ৩০৭ টাকা, ২৭ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪২ টাকা এবং একটি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১০৮ টাকা।
জীবনকৃষ্ণ সাহার নামে রয়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার একটি স্করপিও, ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকার একটি সুইফ্ট ডিজায়ার, ২ লাখ ১০ হাজার টাকার একটি অল্টো এবং ২১ হাজার টাকার একটি বাজাজের বাইক। তাঁর নামে রয়েছে ৬৮ হাজার ৮৫০ টাকা মূল্যের ১৫ গ্রাম সোনা। স্ত্রীর নামে রয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ৬০ গ্রাম সোনা। এছাড়াও পোস্টাল সেভিংস থেকে মিউচুয়াল ফান্ড, জীবনকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রীর বিনিয়োগ রয়েছে একাধিক।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ২০২১ সালের হলফনামা অনুযায়ী জীবনকৃষ্ণ সাহার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৯ টাকা ১১ পয়সা। তাঁর স্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৯ হাজার ২০১ টাকা।