শুক্রবার মুর্শিদাবাদের আন্দিতে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে শুরু হওয়া সিবিআইয়ের অভিযান শেষ হল তিনদিন পর সোমবার দুপুরে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গত ৬৬ ঘণ্টায় কী কী ঘটল জীবনের জীবনে-
১৪ এপ্রিল, শুক্রবার, বেলা ১২:৩০
সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছান মুর্শিদাবাদের আন্দিতে। নিয়োগ দুর্নীতি জড়িত থাকার অভিযোগে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান
১৪ এপ্রিল, শুক্রবার, দুপুর ১টা
আন্দিতে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীনই রঘুনাথগঞ্জে জীবনকৃষ্ণের শ্বশুরবাড়িতেও শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
১৪ এপ্রিল, শুক্রবার, দুপুর তিনটে-
বাড়ির খাটের তলা থেকে কুলুঙ্গি, ড্রেসিং টেবিল থেকে বাথরুমের টাইলস। সিবিআইয়ের আঁতিপাতি সন্ধানে একে একে উদ্ধার সন্দেহজনক পেনড্রাইভ, দুটি ডায়েরি, বেশ কিছু নথি, হার্ডডিস্ক।
১৪ এপ্রিল, শুক্রবার, বিকেল সাড়ে চারটে-
ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের ফাঁকে সিবিআই আধিকারিকদের চোখ এড়িয়ে সিজ হওয়া দুটি মোবাইল তুলে নিয়ে পৌঁছে যান ছাদে।
১৪ এপ্রিল, শুক্রবার, বিকেল ৪:৩৫
সিবিআই সূত্রে দাবি, সকলের চোখ এড়িয়ে ছাদ থেকে মোবাইল দুটি তৃণমূল বিধায়ক ছুঁড়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেন।
১৪ এপ্রিল, শুক্রবার, রাত ৯টায়
মোবাইল উধাওয়ের বিষয়টি নজরে আসতেই রাতেই সার্চ লাইট জ্বালিয়ে বাড়ির পিছনের জঙ্গলে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি।
১৪ এপ্রিল, শুক্রবার, রাত ১০:১৫
মোবাইলের খোঁজে আনা হল মেটাল ডিরেক্টর। সেই দিয়ে শুরু হল তল্লাশি।
১৪ এপ্রিল, শুক্রবার, রাত ১১:০০
বহুক্ষণ তল্লাশির পরেও না মেলায় ফের বিধায়ককে জেরা করলে জানা যায় তিনি মোবাইল দুটি পুকুরে ফেলে দিয়েছেন।
১৪ এপ্রিল, শুক্রবার, মধ্যরাত
মোবাইল উদ্ধারে পুকুরের জল ছেঁচতে শুরু পাম্প চালানো।
১৫ এপ্রিল, শনিবার সকাল ১০টা-
পুকুর থেকে মোবাইল উদ্ধার নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত আদায়
১৫ এপ্রিল, শনিবার সকাল ১০-৩০
হাতে এল আরও কিছু। অন্যদিকে, আরও দ্রুত পুকুরের জল ছেঁচার কাজ শেষ করতে আনা হল আরও দুটি পাম্প।
১৫ এপ্রিল, শনিবার সকাল ১১টা
চিরুনি তল্লাশিতে বিধায়কের স্ত্রীয়ের সিঁদুরের কৌটো থেকে উদ্ধার গুরুত্বপূর্ণ মেমোরি কার্ড।
১৫ এপ্রিল, শনিবার, দুপুর ১২টা
জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির পিছনের আমবাগানে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার ছটি ব্যাগ। ভিতরে নিয়োগ প্রার্থীদের রোল নম্বর সহ অ্যাডমিট কার্ড।
১৫ এপ্রিল, শনিবার, বিকেল ৪টে
বিধায়কে বাড়ির ছাদে তুলে হাতে ঢিল দিয়ে মোবাইল ছুঁড়ে ফেলা কাণ্ডের পুর্ননির্মাণ।
১৬ এপ্রিল, রবিবার, ভোর ৪টে
পুকুর থেকে জল তোলার শেষ পর্যায়ে। স্থানীয় পাম্প অপারেটরদের লাগানো হয় কাজে।
১৬ এপ্রিল, রবিবার, সকাল সাড়ে ছটা
জলশূন্য পুকুরের পাঁকে মোবাইলের সন্ধানে শুরু
১৬ এপ্রিল, রবিবার, সকাল ৭-৩৮
পাঁক থেকে উদ্ধার প্রথম মোবাইল
১৬ এপ্রিল, রবিবার, বেলা সাড়ে বারোটা
দ্বিতীয় মোবাইলের খোঁজ তখনও মেলেনি। সাহায্যে এগিয়ে এলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি।
১৬ এপ্রিল, রবিবার, দুপুর দেড়টা
অমিল মোবাইল। বিতর্কের জেরে ফিরে গেলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি।
১৬ এপ্রিল, রবিবার, বিকেল চারটে
পাঁক, কাদামাটি ছেঁচে মোবাইল খুঁজতে আনা হল জেসিবি ও ট্র্যাক্টর।
১৬ এপ্রিল, রবিবার, রাত ১১টা
আরও পুলিশ বাহিনী ঘিরে ফেলল জীবনকৃষ্ণের বাড়ি
১৭ এপ্রিল, রবিবার, রাত আড়াইটে
গ্রেফতারির প্রস্তুতি শুরু। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি পৌঁছল সিবিআইয়ের বিশেষ দল।
১৭ এপ্রিল, সোমবার, ভোর পাঁচটা
গ্রেফতার জীবনকৃষ্ণ সাহা। স্ত্রী টগর সাহাকে দিয়ে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করাল সিবিআই।
১৭ এপ্রিল, সোমবার, বেলা সাড়ে দশটা
পুকুরের কাদা থেকে উদ্ধার দ্বিতীয় মোবাইল।
তিনদিন প্রায় ৬৬ ঘণ্টার ম্যারাথন অভিযান শেষে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাঁর জামিনের আর্জি খারিজের পর চারদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠাল আদালত।