ডব্লিউবিসিএস-এর মতো রাজ্য সরকার এ বার ডব্লিউএলআরএস (ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস সার্ভিস) নামে নতুন ক্যাডার সার্ভিস চালু করল ভূমি সংস্কার দপ্তরের জন্য। স্পেশাল রেভিনিউ অফিসার অর্থাৎ এসডিএলআরও এবং সিনিয়র বিএলএলআরও পদমর্যাদার আধিকারিকরা এই নয়া সার্ভিসের আওতায় এলেন। প্রথম দফায় ভূমি সংস্কার দপ্তরের ৭৩৪ জন রেভিনিউ অফিসারকে এই নয়া ক্যাডার সার্ভিসের আওতায় আনা হয়েছে।
রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রাথমিক ভাবে বিএলএলআরও-র শূন্যপদের ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ডব্লিউএলআরএস পদে নিয়োগ করা হবে। যেমন ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ হয়। বাকি ৮০ শতাংশকে পদোন্নতির মাধ্যমে ডব্লিউএলআরএস করা হবে।
পাবলিক সার্ভিস কমিশন যাঁদের পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করবে, তাঁদের দু’বছর বাধ্যতামূলক প্রবেশনে থাকতে হবে। ওই সময়ে ভূমি সংস্কারের কাজে তাঁদের সহায়ক হিসেবে থাকতে হবে। তারপর পাকাপাকি নিযুক্ত হবেন ওই প্রার্থীরা।
এতদিন ভূমি সংস্কার দপ্তরের নিচুতলার আধিকারিকরা জমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও প্রশাসনের নীতি নির্ধারণে তাঁদের কোনও ভূমিকা ছিল না। নয়া ক্যাডার সার্ভিস গঠন হওয়ার ফলে তাঁদের ভূমি সংস্কার দপ্তরের সচিব পর্যায়ে পদোন্নতির সুযোগ তৈরি হবে। এত দিন ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পর মহকুমা রেভিনিউ অফিসার পদের পর পদোন্নতির আর কোনও সুযোগ ছিল না।
পশ্চিমবঙ্গ ল্যান্ড অ্যান্ড ল্যান্ড রিফর্মস অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি দেবাশিস সেনগুপ্ত বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে এই নয়া ক্যাডার সার্ভিস গঠনের দাবি জানাচ্ছি আমরা। বিডিওরা যেমন প্রশাসনের নিচুতলার কাজ করেন, বিএলআরওদেরও ভূমি সংস্কারে নিচুতলায় একই রকম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়।অথচ বিডিওদের মতো বিএলআরওদের পদোন্নতির সুযোগ নেই। এই নয়া সার্ভিস চালুর পর কিছুটা হলেও প্রশাসনে সেই সুযোগ তৈরি হবে। দপ্তরে তাঁদের গুরুত্ব বাড়বে।”
তবে তিনি জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যে ২২০০ রেভিনিউ অফিসার রয়েছেন। অ্যাসোসিয়েশন চেয়েছিল সব বিএলএলআরওকেই এই নয়া সার্ভিসের আওতায় আনতে। এতে তাঁরা আর্থিক ভাবেও লাভবান হতেন। এটা করা হলে শুরুতেই নয়া ক্যাডারভুক্ত হতেন ১০৫৫ জন। সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও মাত্র ৭৩৪ এই নয়া সার্ভিসের আওতায় এসেছেন।