Anurag Manna ISRO : লাখ লাখ পড়ুয়াকে টেক্কা! ISRO-র বিশেষ প্রশিক্ষণে সুযোগ মেমারির অনুরাগের – purba bardhaman memari student got selected for special training in isro good news


ছোট বয়সে বাবা মা তাঁদের ছেলেকে কোলে নিয়ে আকাশের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলতেন ওই দেখ চাঁদ মামা। খিলখিলিয়ে হেসে উঠত ছোট্ট ছেলেটা। সেই বাবা-মায়ের সৌজন্যেই তারা ও নক্ষত্রের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। ছোটো থেকে মহাকাশ যেন টানতে শুরু করে পূর্ব বর্ধমানের অনুরাগ মান্নাকে। বাড়তে থাকে মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ। তখন থেকে মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার নেশা তাঁকে পেয়ে বসেছিল।

মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়াল লক্ষ্যে এবার এক কদম এগিয়ে গেল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির মেধাবী ছাত্র অনুরাগ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোতে প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেওয়ার ডাক এসেছে অনুরাগের। স্বপ্ন পুরণের পথে ছেলে এগিয়ে যাওয়ায় খুশি বাবা শ্যামল মান্না ও তার মা সাধনাদেবী। একই ভাবে খুশি অনুরাগের স্কুলের শিক্ষকরাও।

Darjeeling First Female Pilot : পেঁজা মেঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলবেন দার্জিলিংয়ের সাক্ষী
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জাড়গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম আটপাড়াতে অনুরাগদের পৈতৃক ভিটে। অনুরাগের বাবা শ্যামল মান্না পেশায় ব্যবসায়ী, মা সাধনাদেবী গৃহবধূ। ছোটোবেলাতেই ছেলেকে হুগলি জেলার দশঘরার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করেন তাঁর মা-বাবা। সেই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি অবধি পঠন-পাঠন শেষ করে।

ছোটোবেলা থেকে মেধাবী ছাত্র ছিল অনুরাগ। চতুর্থ শ্রেণি্র পর তাঁর বাবা তাঁকে ভর্তি করে মেমারির ক্রিস্টাল মডেল স্কুলে। অনুরাগ মান্না এখন এই স্কুলেরই দশম শ্রেণির ছাত্র। মেমারির রাধাপলীতে বাবা ও মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থেকেই অনুরাগ পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে এই কিশোর।

Tanishka Sujith : মাত্র ১৫ বছরেই BA পাশ! কিশোরীর প্রতিভায় মুগ্ধ মোদী
অনুরাগ এই প্রসঙ্গে বলেন, “ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেওয়ার ডাক পেয়েছি। গোটা দেশের লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী আবেদন করেছিল। শুধুমাত্র ৩৫০ জন এই সুযোগ পেয়েছে। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।” অনুরাগ জানিয়েছে, আগামী ১৪ মে সে ইসরোর সেন্টারে তাঁকে পৌঁছতে হবে। সেখানকার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে ২৭ মে পর্যন্ত তাঁদের প্রশিক্ষণ চলবে।

অনুরাগের বাবা শ্যামল বাবু ও মা সাধনাদেবী ছেলের এই সাফল্যে নিঃসন্দেহে গর্বিত। তাঁরা বলেন, “ছোটবেলা থেকেই মহাকাশের চাঁদ, তারা, সূর্য, নক্ষত্র এইসব কিছু ভাবাতো অনুরাগকে। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের মহাকাশ নিয়ে জানার আগ্রহ আরও বাড়তে থাকে। মহাকাশ বিজ্ঞানী

WBCS Exam: ‘একদিনে হবে না, একদিন হবেই!’ সপ্তমবারে WBCS-এ সফল কোচবিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের যুবক
অনুরাগের বাবা বলেন, “ইসরোর প্রশিক্ষণ শিবিরে সুযোগ পাওয়ার জন্য অনুরাগকে অনলাইনে বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। ১০ এপ্রিল সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়, এরপরেই অনুরাগ প্রশিক্ষণ শিবিরে সুযোগ পাবার জন্য বিবেচিত হয়।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *