সেখানেই তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মঞ্চ আলোকিত করে বসে থাকতে দেখা যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহাকে। উপাচার্যের তৃণমূলের অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে থাকার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই মঙ্গলবার সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। যদিও এই বিষয়ে উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কিভাবে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এইভাবে দলীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন? মঙ্গলবার এই প্রশ্ন তুলে সরব হয় BJP। কটাক্ষ করে BJP বলে, তৃণমূলের আমলে কোনটা প্রশাসন ও কোনটা দল বোঝা দায়। পুলিশ, BDO থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সকলেই শাসকদলের পদলেহন করতে ব্যস্ত, কটাক্ষ BJP-র।
BJP-র বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র এই বিষয়ে জানান, “তৃণমূলের আমলে কোনটা দল আর কোনটা প্রশাসন বোঝা দায়। তাই কখনও পুলিশকে দেখা যায় তৃণমূলের মঞ্চে সংবর্ধনা নিতে, কখনও দেখা যায় BDO-কে অভিষেকের সভায় লোক ভরানোর মিটিং করতে। তবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর শাসকদলের পদলেহন করা একেবারে নিকৃষ্টতম উদাহরণ। তৃণমূল আমলে গোটা শিক্ষা দফতরটাই জেলে রয়েছে। তারপরেও একজন উপাচার্যের শাসকদলের এইভাবে পদলেহন তার অযোগ্যতাকেই প্রকাশ করে। আর তৃণমূলকে নিয়ে যত কম কথা বলব ততই ভালো। এত এত দুর্নীতি করার পরেও ওদের দলের নেতাদের ন্যুনতম লজ্জাটুকুও নেই।”
যদিও এই বিষয়ে পালটা পূর্ব বর্ধমান জেলাতৃণমূল কংগ্রেসমুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, “এটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এতে অসুবিধা কোথায়? BJP-র অভিযোগ করা কাজ তাই BJP অভিযোগ করছে। আসলে বর্ধমানে BJP-র কোনও জনভিত্তি নেই। ওরা হাওয়ার ওপর ভর করে এসব ফালতু অভিযোগ তুলছে, যাতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে অল্প কিছু হলেও ভোট পায়।”
তবে শাসকদল যাই বলুক না কেন, গত জানুয়ারি মাসেও একবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই উপাচার্য। অভিযোগ উঠেছিলো,বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই সহকারী অধ্যাপকের নিয়োগে দুর্নীতি করেছেন উপাচার্য। এই অভিযোগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছিল।