Bhangar Incident: ভাঙড়ের মাঠে পোড়ানো হচ্ছিল কোন নথি? অর্ধদগ্ধ কাগজ-ছাই থেকেই রহস্য ফাঁস সিবিআইয়ের – large numbers of government documents sets to fire at bhangar cbi officials examine the burned paper to know which documents are these


মঙ্গলবারের সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ে। বিশাল মাঠ জুড়ে হাজার হাজার সরকারি নথি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ভাঙড়ের কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার অন্তর্গত তারদহ আন্দুল গড়িয়া এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কে বা কারা সরকারি নথিতে আগুন লাগিয়ে দেয় তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। দ্রুত এলাকায় পৌঁছে আগুন নিভিয়ে অধর্দগ্ধ নথিগুলি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই আধিকারিকরা। সেই অর্ধেক পোড়া নথি পরীক্ষা করেই খানিক রহস্য ফাঁস।সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে অর্ধদগ্ধ নথি পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে মাইনিং ব্যবসা সংক্রান্ত নথি। বিহারের একাধিক এলাকার মাইনিং ব্যবসা সংক্রান্ত নথি সেগুলি। কয়লা পাচার বা এসএসসি দুর্নীতির নথি এর মধ্যে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। কখন কেন এই ঘটনা কে ঘটাল তাও খোঁজ করে দেখা হচ্ছে।

Jiban Krishna Saha : জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে আলিপুর আদালতের পথে CBI, জিজ্ঞাসাবাদে আরও ৮ বিধায়কের নাম!

প্রাথমিকভাবে জানা যায় নথিগুলি বিহার সরকারের। বিহারের কৃষি ও ফিশারি দফতরের নথি এগুলি। ২০০৮ ২০১০ সালের নথি। সরকারি অডিটের নথি বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান। ঘটনার খবর পেয়ে সিবিআই এর একটি তদন্তকারী দলের সঙ্গে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরাও। ঘটনার পেছনে কে বা কারা রয়েছে সে বিষয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। বিহার থেকে এই নথি কিভাবে এখানে এল সে খোঁজও চলছে।

Dakshin 24 Pargana : ভাঙড়ে ফাঁকা মাঠে পোড়ানো হল সরকারি নথি! খবর পেয়ে ছুটলেন CBI অফিসাররা, রহস্য

নিয়োগ থেকে গোরু পাচার, দুর্নীতির রহস্যফাঁসে রাজ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও ইডি-এর অভিযান এখন খবরের শিরোনামে। মন্ত্রী-বিধায়ক কখনও প্রোমোটার, যুব নেতার বাড়ি তল্লাশিতে উদ্ধার একের পর এক সরকারি নথি, যা দুর্নীতির প্রামাণ্য দলিল। এরই মাঝে এদিন চাঞ্চল্য ছড়াল ভাঙড়ের ঘটনা। মঙ্গলবারের সকালে দেখা গেল ভাঙড়ের এক বিশাল মাঠ জুড়ে হাজার হাজার পাতা সরকারি নথি ছড়িয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে যায় CBI আধিকারিকরা।

Jiban Krishna Saha: সিঁদুরে মাখা মেমরি কার্ড থেকে বাগানে নিয়োগ নথি! তৃণমূল বিধায়কের লুকোচুরিতে জীবন অতিষ্ঠ CBI আধিকারিকদের

বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, দুর্নীতির প্রমাণ পুড়িয়ে লোপাট করে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ”ওখানে বীরভূমের সব নথি পোড়ানো হচ্ছে। ভাঙড়ে শওকত মোল্লা বা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত লোকের জমিতেই তাদের নজরদারিতে নথি পুড়িয়ে লোপাটের কাজ চলছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুদিন ধরে ট্রাক ভরে ভরে ওই মাঠে এনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।

Jiban Krishna Saha: …কারও পৌষমাস! CBI-এর জীবন-যন্ত্রণায় উপরি কামাই স্থানীয়দের

অন্যদিকে ঘটনায় এলাকার দুই সন্দেহভাজন তৃণমূল নেতা রাকেশ রায় চৌধুরী ও গৌতম মণ্ডলকে ডেকে পাঠায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। গৌতম মণ্ডল কলকাতায় থাকায় উপস্থিত হতে পারেনি। তবে তৃণমূল নেতা রাকেশ রায় চৌধুরীর সঙ্গে আধিকারিকরা বেশ কিচ্ছুক্ষণ কথা বলেন।

জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জমি মালিককেও। রাজেশ সিং নামের এক ব্যক্তি জমি মালিক বলে জানা যাচ্ছে। রাজেশ সিং বিহারের বাসিন্দা। তিনি এলাকার তৃণমূল নেতা গৌতম মণ্ডলের থেকে জমি কেনেন। গৌতম প্রোমোটারি করেন। ক্যাপ্টেন তিয়ারি পরে রাজেশ সিংয়ের কাছ থেকে জমিটি কেনেন। এবং পরে বিক্রি করে দেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *