চা বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ভোটবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের ধুতিরবাড়ি সেকশনে এই চা গাছ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। গত শনিবার নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবারও কিছু গাছ নষ্ট করা হয়েছে। একাধিকবার গাছ চুরি যাওয়ার ঘটনায় শেষমেষ পুলিশের দ্বারস্থ হন বাগান কর্তৃপক্ষ।
এদিন ওই এলাকা পরিদর্শনে যান বাগানের জেনারেল ম্যানেজার জ্ঞান প্রকাশ দিক্ষিত। তবে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেও অভিযুক্তরা এখনও ধরা না পড়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বাগান কতৃপক্ষ। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা অবশ্য জানিয়েছেন,”অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
বাগান কতৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, মাঝেমধ্যেই চা গাছ সহ বাগানের গাছ কেটে ফেলা, কাঁচা চা পাতা চুরি ইত্যাদি ঘটনা ঘটছে। এতে তাঁরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। দ্শ হাজার চা গাছ নষ্ট করাতে তাঁদের প্রায় কুড়ি লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এই ধরণের ঘটনা তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে চা বাগান এলাকায়।
উল্লেখ্য, মেখলিগঞ্জ ব্লক ও ময়নাগুড়ি ব্লকের বেশ কিছু জায়গায় মৈনাক কোম্পানির চা বাগান রয়েছে। বাগানের ম্যানেজার জানান, “ধুতির বাড়ি এলাকায় আমাদের বড় ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে মেখলিগঞ্জ থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমরা চাইছি ঘটনার সঠিক তদন্ত করে পুলিশ অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তি দিক।”
কিন্তু, কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট সন্দিহান করতে পারেনি চা বাগানের শ্রমিকরাও। তবে ব্যবসায়িক ক্ষতির স্বার্থেই এরকম ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে তাঁদের প্রাথমিক ধারণা। এমনকি চা বাগানের কোনও লোক এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে খুব শীঘ্রই ধরা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চা বাগানে রাত্রিকালীন নিরাপত্তা রক্ষী রাখার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও জানান চা বাগান কর্তৃপক্ষ।